বিশ্বে প্রতিবছর তামাক ব্যবহারে ৬০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করে। শুধু বাংলাদেশে এর সংখ্যা এক লাখ। এ হার অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে প্রতিবছর ৮০ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে মারা যাবে।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস-২০১৬’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব তথ্য উঠে আসে। তামাকবিরোধী সংগঠন ‘আধুনিক’ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভায় বাংলাদেশের পরিসংখ্যান তুলে জানানো হয়, বাংলাদেশে তামাকজনিত কারণে প্রতি বছর এক লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া অসংখ্য মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে।
বক্তারা বলেন, দেশে তামাকজনিত রোগীর সংখ্যা কমাতে হলে সবার সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সচেতনাতার মাধ্যমে তামাক ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তামাক ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যে বিশ্বের ৭৭টি দেশে ইতোমধ্যে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্ক বার্তা দেয়া শুরু করেছে। বাংলাদেশে-২০১৫ সালে এর নীতিমালা করা হলেও এখনও তা শতভাগ মানা হচ্ছে না।
আলোচনা সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বাসুদেব গাঙ্গুঁলী বলেন, ‘জোরালো আইন করে দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। এর জন্য দরকার মোটিভেশন। তামাক ব্যবহারকারীদের মোটিভেশনের মাধ্যমে তামাক থেকে দূরে রাখা সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘পাবলিক প্লেস তামাকমুক্ত রাখতে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা দরকার।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রতি বছর সিগারেট ও বিড়ি ক্রয়ে দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) যথাক্রমে ১ শতাংশ এবং দশমিক ৪ শতাংশ ব্যয় হয়। তাই তামাক সেবন নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে বিপুল পরিমান টাকা অপচয় থেকে বাঁচানো যেত।’
সারা দেশে পর্যায়ক্রমে সিগারেট বিক্রি বন্ধ করে দেয়ার পরামর্শ দিয়ে এ শিক্ষক আরো বলেন, ‘সিগারেট থেকেই নেশা। আর নেশা থেকে বড় সন্ত্রাসী জন্ম নেয়। এ জন্য এর গোড়া কেটে দিতে হবে। একটি তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গিকার করতে হবে।’ (বাংলামেইল)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট ৭:৪৬ পিএম, ২৮ মে ২০১৬, শনিবার
এইউ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur