নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর অবশেষে দুধে গোসল করে ‘পবিত্র’ হলেন টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রহিজ উদ্দীন আকন্দ।
তিনি এর আগে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। এবার নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে মাত্র ১৪৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত নুরুল ইসলামের কাছে। এতে ক্ষোভ-দুঃখে রাজনীতি থেকে ‘চিরবিদায়’ ও ভবিষ্যতে ‘নির্বাচন না করার’ প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘আমি দুধ দিয়ে গোসল করে পবিত্র হলাম।’
সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী নুরুল ইসলামের কাছে ১৪৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজয়কে তিনি দেখছেন ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে।
রহিজ উদ্দীন আকন্দ বলেন, ‘পাঁচ বছর অলোয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দুইবার উপজেলার শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। এবার দল মনোনয়ন না দিলেও ইউনিয়নবাসী ও দলের সাধারণ নেতা-কর্মীদের চাপে এই নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু যেভাবে আমাকে হারানো হয়েছে, তা আমি মানতে পারছি না।’
প্রসঙ্গত, মাত্র ১৪৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন রহিজ উদ্দীন আকন্দ। তিনি ৪৮৯০ ভোট। আর বিজয়ী চেয়ারম্যান পেয়েছেন পেয়েছেন ৫০৩৯ ভোট।
নিজেকে দলের প্রতি ‘নিবেদিতপ্রাণ’ হিসেবে দাবি করে রহিজ উদ্দীন আকন্দ বলেন, ‘যে দলের জন্য এত শ্রম দিয়েছি সেই দল থেকে কি পেলাম? সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর রাজনীতি করব না। তাই দুধ দিয়ে গোসল করে পবিত্র হলাম। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ব। আর যতটুকু পাড়ি জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখব।’
ভূঞাপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন, এটি একটি ‘সাময়িক ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ’।
অন্যদিকে রহিজ উদ্দীনের অনুসারীরা বলছেন, ‘তিনি এক কথার মানুষ’।
আর সাধারণ মানুষ মনে করছেন, ‘রাজনীতির শেষ বলে কিছু নেই’।
প্রসঙ্গত, ৩১ মার্চ দ্বিতীয় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে পরাজয়ের একদিন পর গত ১ এপ্রিল বিকেলে রহিজ উদ্দীন আকন্দ নিজ বাড়িতে দুধ দিয়ে গোসল করেন।
||আপডেট: ০৪:২৫ অপরাহ্ন, ০২ এপ্রিল ২০১৬, শনিবার
চাঁদপুর টাইমস /এমআরআর