বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়া তরুণীর পরিচয় সম্পর্কে কোনো তথ্য মেলেনি। তরুণীটি কে, কোথা থেকে এসেছেন আর কেনই বা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত (দপদপিয়া) সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দেয়ার সময় তরুণীকে শেষ মুহূর্তে দেখেছেন এক যুবক। তবে তিনিও কিছু বলতে পারছেন না। শুধুমাত্র এটুকু জানাচ্ছেন, সেতুর অদূর থেকে তিনি তরুণীকে কীর্তন খোলায় ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখেছেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দেয়া তরুণীটির বয়স আনুমানিক বিশ বছর বলে ধারনা করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ তরুণীকে উদ্ধারে অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে একটানা সাত ঘণ্টারর রুদ্ধশ্বাস অভিযান শেষেও তরুণীটিকে জীবিত বা মৃত উদ্ধার করা যায়নি। তবে অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. আলাউদ্দিন জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত (দপদপিয়া) সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন এক তরুণী। খবর পেয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি তাদের অবহিত করে।
এরপরে বেলা সাড়ে ১০টা টায় কীর্তনখোলা নদীতে উদ্ধার অভিযান শুরু করে বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিস ডিফেন্সের একটি ডুবুরি দল। বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত একটানা এ অভিযান চালানো হলেও ওই তরুণীর কোনো সন্ধান মেলেনি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখায়াত হোসেন জানান, নিখোঁজ ওই তরুণীর নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে মনির নামে প্রত্যক্ষদর্শী এক যুবক জানিয়েছে সেতুর অদুর থেকে সে তরুণীকে নদীতে ঝাঁপ দিতে দেখেছেন। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের একটি টিম রয়েছে বলে জানান ওসি।
চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক ||আপডেট: ০৬:৫০ অপরাহ্ন, ১২ মার্চ ২০১৬, শনিবার
এমআরআর