Home / আন্তর্জাতিক / যে দেশের মসজিদে নারী ইমামের পেছনে পুরুষ মুসল্লী
যে দেশের মসজিদে নারী ইমামের পেছনে পুরুষ মুসল্লী

যে দেশের মসজিদে নারী ইমামের পেছনে পুরুষ মুসল্লী

মসজিদ মানেই পুরুষের নামাজ আদায়ের জন্য পবিত্র স্থান। একে মুসলমানরা আল্লাহর ঘর হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। পৃথিবীর সব জায়গাতেই মসজিদগুলো নির্মিত হয়েছে পুরুষদের জন্যই।

অবশ্য সামান্য কিছু দেশে নারীদের জন্য আলাদা করে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। তবে এ সংখ্যাও খুব বেশি নয়।

একজন পুরুষ ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়ের দৃশ্য খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা। কিন্তু নারী ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে পুরুষরা নামাজ আদায় করছে, এ ঘটনা কখনো ঘটেনি। তবে এই ব্যতিক্রমী ঘটনার জন্ম দিয়েছে ডেনমার্কের একটি মসজিদ।

মরিয়ম নামের ওই মসজিদটি ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও নামাজ আদায় করতে পারবে। তবে সেখানে কোনো পুরুষ ইমামতির দায়িত্ব নিতে পারবে না। মসজিদটিতে ইমাম সব নারী। আর পুরুষরা এখানে নামাজ পড়তে চাইলে তাদেরকে নারীদের পেছনের সারিতেই দাঁড়াতে হবে।

মসজিদটির প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশটিতে ধারাভাষ্যকার হিসেবে পরিচিত সিরিয়ীয় বংশোদ্ভূত শেরিন খানকান। তার বাবা সিরীয় নাগরিক এবং মা ডেনমার্কের নাগরিক।

Nari Imam

শেরিনের মতে, ‘আমরা আমাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে পুরুষতান্ত্রিক কাঠামোকে স্বাভাবিকভাবেই রেখেছি। এটা শুধু ইসলামেই নয়, ইহুদি, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মেও এই পুরুষতান্ত্রিকতা রয়েছে। আর আমরা এটাকে চ্যালেঞ্জ করতে চাই।’ এ জন্যই এ ধরনের একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরো জানান, এই মসজিদ নির্মাণের পর মুসলিম কমিটিগুলো ইতিবাচক ছিল। তবে অনেকেই আবার এই বিষয়টিকে ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারেননি।

শেরিনের দাবি, ইসলামী ঐতিহ্য নারীদের ইমাম হওয়াকে অনুমোদন করে। তবে অনেকেই অজ্ঞতার কারণে এর সমালোচনা করে থাকেন।

তার মতে, অনেকেই তার এ কাজকে সমর্থন করছেন। কেবল রক্ষণশীলরা এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। রক্ষণশীলদের দাবি, নারীদের জন্য পৃথক মসজিদ নির্মাণকেও ইসলাম সমর্থন করে না। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিশ্বের অনেক দেশেই নারীদের জন্য আলাদা মসজিদ রয়েছে। কিন্তু সেখানে পুরুষ ইমামের অধীনেই তাদের নামাজ আদায় করতে হয়। এবার ডেনমার্কেই শুধু স্বাধীনভাবে নারীরা মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারবে।

ধর্মীয় অনুভূতিগুলো খুব সুক্ষ্ম। এক্ষেত্রে নারীরা বরাবরই উপেক্ষিত। ধর্মীয় কিছু গোঁড়ামির জন্য মেয়েরা নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিন্তু এই উদ্যোগের কারণে নারীরা ধর্মীয় ব্যাপারগুলোতে আরো সচেতন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শেরিন। (বাংলামেইল)

: আপডেট ০৭:১০ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬শনিবার

ডিএইচ