মুনিয়ার ছেলে হয়েছে। তাই নিয়ে আহ্লাদে আটখানা পুরো গ্রাম। মুনিয়ার ছেলেকে দেখতে রোববার দুপুর থেকে দলে দলে মানুষ এসে ভিড় জমাচ্ছেন। এরই মধ্যে সদ্যজাত ছেলেকে কিনতে খদ্দের এসে হাজির। পাঁচ থেকে আট হাজার রুপি পর্যন্ত দর উঠেছে। তবে মুনিয়ার ছেলেকে বিক্রি করতে রাজি নন এর মালিক। আসলে মুনিয়া হলো একটি গৃহপালিত ছাগল।
গতকাল রোববার মুনিয়া নামের ছাগলটি এক বাচ্চার জন্ম দিয়েছে, যার মাথা ও মুখ অদ্ভুত গঠনের। অনেকটা মানুষের মতো দেখতে এর মুখ। বিচিত্র ছাগলের বাচ্চা দেখতে এলাকায় উপচে পড়েছে ভিড়।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমায়। বসিরহাটের সুবিবপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদার আলী মোল্লা। কৃষক আবদার সংসারের সচ্ছলতার জন্য বেশ কয়েকটি ছাগল পোষেন। প্রতিটি ছাগলের আদর করে নামও দিয়েছেন তিনি। গত রোববার মুনিয়া নামের একটি ছাগল বাচ্চা জন্ম দিয়েছে। বাচ্চাটির মুখের গঠন দেখে অবাক সবাই। স্বাভাবিক ছাগলের বাচ্চার সঙ্গে এর মুখের কোনো মিল নেই। বরং এর মুখের মিল মানুষের সঙ্গে। মানুষের মতোই দেখতে এর জিব। আর দুটি চোখ একসঙ্গে লাগানো। তবে এমন গঠন সত্ত্বেও ছাগলের বাচ্চাটি সুস্থভাবেই বেঁচে আছে।
ছাগলের বিচিত্র গঠনের বাচ্চার কথা ছড়িয়ে পড়তেই আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে দলে দলে মানুষ ছুটে আসেন সুবিবপুরের আবদার আলী মোল্লার বাড়িতে। ছাগলের বাচ্চাটি কিনে নেওয়ার আগ্রহও দেখান কেউ কেউ।
আবদার আলী মোল্লা বলেন, অনেকেই ছাগলের বাচ্চাটি কিনতে চান। কিন্তু তিনি এটি বিক্রি করতে চান না। তিনি আরো বলেন, ‘সংসারে অনেক অভাব-অনটনের মধ্য দিয়েই ছাগল পোষা হয়। ছোট থেকেই এদের প্রতি আলাদা ভালোবাসা তৈরি হয়ে যায়।
আবদুর আলীর স্ত্রী আকলিমা বিবি মুনিয়ার বাচ্চার বিশেষ যত্ন নিচ্ছেন। তিনি বলেন, বোববার দুপুর আড়াইটা নাগাদ মুনিয়ার বাচ্চার জন্ম হয়। জন্মের পর থেকেই বাচ্চাটিকে মুনিয়া ঠিকমতো দুধ খাওয়াতে পারছে না। তাই বোতলে করে বাচ্চাটিকে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে। রাতেও বাচ্চাটির বিশেষ যত্ন নেওয়া হচ্ছে। ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচাতে গায়ে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গরম কাপড়।
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৮:২১ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, সোমবার
এমআরআর