মার্বেল খেলা নিয়ে বিরোধের জেরে তিন বন্ধু মিলে সাহেবউদ্দিন ঘটু (১৪) নামে এক কিশোরকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। গত রোববার রাতে নীলফামারীর জলঢাকায় উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের গোলনা কালীগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার দুপুরে ওই গ্রামের একটি বাঁশঝাড় থেকে ঘটুর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত ঘুটুর তিন বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ।
তারা হল একই গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে মনোয়ার হোসেন (১৫), হযরত আলীর ছেলে সালাউদ্দিন (১৪) ও আইয়ুব খানের ছেলে টিটু (১৩)। হত্যাকাণ্ডের শিকার ঘটু একই গ্রামের ঝালমুড়ি বিক্রেতা বাদশা মাহমুদের ছেলে।
আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে জলঢাকা থানার ওসি (তদন্ত) মফিজউদ্দিন শেখ জানান, রোববার সকালে মার্বেল খেলায় টাকা নিয়ে বিরোধ হয় ওই চার বন্ধুর মধ্যে। রাত আনুমানিক ৮টার দিকে উপজেলার বঙ্গবন্ধু হাটে বাবা বাদশা মাহমুদের কাছ থেকে ঝালমুড়ি বিক্রির ৪৮০ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিল ঘটু। এ সময় পথেই ঘটুর তিন বন্ধু তাকে সিগারেট খাওয়ার নাম করে গ্রামের একটি ভুট্টা ক্ষেতে গিয়ে তার পকেটে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে তারা ঘটুকে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে গ্রামের বাঁশঝাড়ের একটি বাঁশের সঙ্গে তার মৃতদেহ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।
সোমবার সকালে গ্রামবাসী বাঁশঝাড়ে ঘটুর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে তার মা-বাবাকে জানায়।
দুপুরে পুলিশ ঘুটুর মৃতদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ওসি মাফিজ উদ্দিন আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ঘটুর তিন বন্ধুকে আটক করে জলঢাকা থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদের সবারই বয়স ১৩ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে ।
পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় সাহেবউদ্দিন ঘটুর বাবা বাদশা মাহমুদ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট ১২:৫০ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, মঙ্গলবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur