চাঁদপুরে হাইমচর উপজেলার মেঘনায় যাত্রীবাহি মর্মান্তিক ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের সলিল সমাধির আশংকা রয়েছে। লাশ উদ্ধারে বুধবার নৌ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবরী দলের নিস্ফল অভিযান শেষ হয়েছে।
অভিযানে ট্রলার কিংবা কোন মৃত দেহ না পাওয়ায় সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের অভিযান স্থগিত করেন।
এদিকে নদীর পাড়ে স্বজনদের আহজারীতে বাতাশ ভারি হয়ে উঠে এবংএক হৃদয় বিদায়ক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
গত ২৬ জানুয়ারী উপজেলার তেলির মোড় সংলগ্ন মেঘনায় মর্মান্তিক ট্রলার ডুবির ঘটনায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত নিখোজ হওয়া কারও কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। নদীতে তেলির মোড় হতে চরভৈরবী পর্যন্ত নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস এর জাহাজ সন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
অভিযানে যাত্রীবাহী ডুবে যাওয়া ট্রলার বা কোন নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি। কূয়াশা নেমে আসায় সন্ধায় সন্ধান কার্যক্রম বুধবারের জন্য সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়। সন্ধান কার্যক্রম পরবর্তীতেও চলবে বলে জানান ফায়ার সার্ভিস।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস হাইমচর স্টেশন লিডার এসএম শামিম চাঁদপুর টাইমসকে জানান আমাদের এবং নৌবাহিনীর ডুবরী দল সকাল হতে নদীতে জাহাজের সাহায্যে অভিযান পরিচালনা করেছি। এখনো কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
অপর দিকে নিখোজদের স্বজনরা কাক ডাকা ভোর হতে মেঘনা তেলির মোড় হতে চরভৈরবী জালিয়ার চর পর্যন্ত নদীর পাড়ে তাদের স্বজনদের খোজ করতে দেখা যায়। কেউ কেউ ইঞ্জিন চালিত ট্রলার যোগে নদীতে তাদের স্বজনদের খোজেছেন। কিন্তু কাউকেই পাওয়া যায়নি।
আশংকা করা হচ্ছে নিখোঁজরা আর বেছে নেই। মেঘনাই তাদের সলিল সমাধি হয়েছে। চরভাঙ্গা গ্রামের দাদন মিয়া বোন, ভাগিনা ও ভাগ্নি মর্মান্তিক ট্রলার ডুবিতে নিখোজ রয়েছেন। দাদন ও তার ভগ্নিপতিরপরিবার নদীর পাড়ে নিখোজদের পাগলের মত হয়ে খোজেছেন। উপজেলার চরভৈরবী এলাকার জামাল বেপারীর একমাত্র ছেলে ফাহিম (৩) ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন।
তার পুরো পরিবার নদীর পাড়ে চরের বিভিন্ন স্থানে আদরের ফাহিমকে খোজেছেন। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বি এম ইসমাইল, হাইমচর করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট ৭:০২ এএম, ২৮ জানুয়ারি ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur