দুই মাস বয়সী ছেলে শিশুর পেটে অপারেশন করে মেয়ে শিশুর ভ্রুণ বের করেছে চিকিৎসকরা। বিরল এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে।
শনিবার সকালে অপারেশন করে মেয়ে শিশুর ভ্রুণ বের করেন চিকিৎসকরা। মেয়ে শিশুটির হাত পা মস্তিষ্ক, মাথার চুলসহ মানুষের যেসব অঙ্গ থাকার কথা তার সবই পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেন চিকিৎসকরা।
রমেক হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. বাবুল কুমার সাহার নেতৃত্বে ছয় চিকিৎসক শিশুটির পেটে অপরাশেন চালিয়ে মেয়ে শিশুর ওই ভ্রুণ বের করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিশু সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. বাবুল কুমার সাহা বলেন, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রতেরবাজার গ্রামের পোশাক শ্রমিক সোহেলের স্ত্রী মুন্নী বেগম দুই মাস আগে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের কিছুদিন পর শিশুটির পেট ফুলতে থাকে। এরপর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।
সেখানে আলট্রাসনোগ্রাম আর সিটি স্ক্যান করার পর শিশুটির পেটে মেয়ে শিশুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরপর শনিবার সকালে সফল অপারেশন করে শিশুটির পেট থেকে একটি মেয়ে শিশুর ভ্রুণ বের করা হয়।
ডা. বাবুল কুমার আরো জানান, অপারেশন করে দেখা যায় মেয়ে শিশুর শরীরে প্রায় সবগুলো অর্গান রয়েছে। এটাকে এক ধরনের দমেজিউড টেরাটোনাদ বলা যায়। যেভাবে শিশুটি সম্পূর্ণ আকৃতি ধারণ করেছে আমরা এটাকে শিশুর পেটে শিশু বলছি। অপারেশন করার পরে শিশুটির জ্ঞান ফিরেছে। এখন সে সুস্থ রয়েছে।
এদিকে, শিশুর পেটে শিশু হবার খবর জানাজানি হওয়ায় হাসপাতাল জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। দলে দলে চিকিৎসক-নার্সসহ সাধারণ মানুষ সেখানে ভিড় করছে। বর্তমানে শিশুটি রমেক হাসপাতালের ১৮ নম্বর শিশু সার্জারি বিভাগে ডাক্তারদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৫:৫0 পিএম,০৫ ডিসেম্বর ২০১৫, শনিবার
এমআরআর