ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলায় তার স্ত্রী মডেল সুমাইয়া কানিজ সাগরিকাসহ পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন উচ্চ আদালত।
ডেথ রেফারেন্সের উপর শুনানি শেষে বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার ও বিচারপতি এ এন এম বশিরউল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ রায় দেন। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিলের শুনানি করে এ রায় ঘোষণা করলেন আদালত।
আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন- ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল এম এ মান্নান মোহন। অপরদিকে সাগরিকার পক্ষে ছিলেন মুনসুরুল হক চৌধুরী, খলিলের পক্ষে ইয়াহিয়া দুলাল, খলিল শেখ ও আল-আমিনের পক্ষে এবাদুর রহমান, লিটনের পক্ষে আইনজীবী ফজলুল হক খান ফরিদ।
জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী সাগরিকা ছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- ইব্রাহীম ওরফে ইয়াছিন (২৯), হিজরা খলিল (২২), আল আমিন ও খলিল শেখ।
বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আলী আশরাফ লিটনের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় হাইকোর্ট তাকে খালাস দিয়েছেন।
ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০১০ সালের ২১ জুন এ মামলার রায়ে ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। নিম্ন আদালতের ওই রায়ের পর ডেথ রেফারেন্সের উপর শুনানির জন্য তা হাই কোর্টে আসে। পাশাপাশি নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন।
চলতি বছরের ৮ নভেম্বর হাইকোর্টে এ মামলার শুনানি শুরু হয়।
লোহা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম শ্যামপুরের আরসিন গেইট এলাকার এক বাসায় স্ত্রী সাগরিকা এবং মেয়ে অনামিকা, আশা ও অপূর্বাকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর খুন হন তিনি। জাহাঙ্গীরের বাবা ফিরোজ আলম ওই ঘটনার পর সাগরিকাসহ সাতজনকে আসামি করে শ্যামপুর থানায় মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিনেত্রী সাগরিকার ‘বিয়ে বহিভূর্ত সম্পর্ক’ ছিল এবং তাদের দিয়েই তিনি জাহাঙ্গীরকে খুন করান।
শ্যামপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. শাহজালাল আলম তদন্ত শেষে ওই বছর ৩১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলার শুনানিতে সাক্ষ্য দেন ৩৭ জন।
আসামিদের দেয়া নিম্ন আদালতের জবানবন্দি এবং সাক্ষ্য-প্রমাণ বিবেচনা করে আসামিদের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় উচ্চ আদালত মডেল সাগরিকাসহ পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন বলে জানা গেছে।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা সুপ্রিমকোর্টে আপিল দায়ের করবেন বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১০:১১ পিএম,৩০ নভেম্বর ২০১৫, সোমবার
এমআরআর