চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার সিমান্তবর্তী এলাকা গৃদকালিন্দিয়া বাজার। এ বাজারে প্রায় ১৬ বছর ছিল পুলিশ ফাঁড়ি। গত ২০২১ সালের করোনাকালিন সময়ে এ পুলিশ ফাঁড়িটি সড়িয়ে আনা হয়। এরপর থেকে উপজেলার সিমান্তবর্তী এলাকায় ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাসহ নানান অপরাধ প্রবণতা। স্থানীয়রা দাবি করেছেন এই পুলিশ ফাঁড়িটি না থাকায় ব্যাপক হারে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। জনস্বার্থে এ পুলিশ ফাঁড়িটি পূণরায় চালু করার দাবি করছেন সচেতন মহল।
জানা যায়, করোনাকালিন সময়ে গৃদকালিন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়িটি বন্ধ করে দেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এরপর পুলিশ ফাঁড়িতে থাকা প্রায় ১০ জন কনেস্টেবলকে থানায় দেয়া হয়। তারা থানা থেকে গৃদকালিন্দিয়া এলাকায় গিয়ে ডিউটি করতো। ২০২৪ এর ৫ই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর থানা থেকে সকল পুলিশ সদস্য পালিয়ে যায়।
এরপর থেকে ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলায় কাজ করা ১০জন কনস্টেবলকে আর থানায় দেয়া হয় নি।
গৃদকালিন্দিয়া বাজারে পুলিশ ফাঁড়ির পূণরায় করার প্রসঙ্গে রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সমাজসেবক বিল্লাল হোসেন খান জানান, এ এলাকায় একটা সময় চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকের প্রবনতা ঠেকাতে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন আমাদের এলাকায় এ সকল অপরাধ বন্ধ হয়ে যায়। ফাঁড়িটি বন্ধ করে দেওয়ার পর পূণরায় অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যায়। এই এলাকাটি পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলার সিমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকের প্রবনতা বাড়ছে। এরমধ্যে প্রায় প্রতিনিয়তই আঞ্চলিক সড়কের ছিনতাই হচ্ছে। এমতাবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গৃদকালিন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়িটি পূণরায় চালু করার দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহ্ আলম জানান, এ উপজেলাটি বৃহত্তর হওয়ায় সঠিক ভাবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে গৃদকালিন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়িটি পূণরায় চালু করার জন্য আমি পুলিশ সুপার স্যারকে অবহিত করবো।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান,১৫ জানুয়ারি ২০২৪