Home / শীর্ষ সংবাদ / হাজীগঞ্জে আলোচিত মিতু হত্যার মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
স্বামীর

হাজীগঞ্জে আলোচিত মিতু হত্যার মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আলোচিত স্ত্রী মিতু হত্যার মামলায় আসামি মো. হযরত আলীকে (৩০) মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অপর ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২৬ মে রোববার দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) এর বিচারক সাহেদুল করিম এ রায় দেন।

জানাযায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪নং কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের বাজনাখাল চাঁদপুর গ্রামের বেপারী বাড়ির আবু তাহের পঞ্চম মেয়ে মিতু আক্তার। তার সাথে ২০১৬ সালে একই উপজেলার দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়নের কীর্ত্তন খোলা গ্রামের আনন্দবাজার সংলগ্ন দুধ হাজী বাড়ীর সুরুজ মিয়ার ছেলে বাহারাইন প্রবাসী হযরত আলীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে কাজী অফিসে বিবাহ হয়। এক বছরের মাথায় তাদের ছাড়াছাড়ি হলে প্রবাস থেকে ফিরে স্বামী হযরত আলী দেশে ফিরে মিতু আক্তারকে বাড়ীতে গিয়ে চুরি আঘাতে হত্যা করে। পরে মিতুর মা রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে গত ২৪ জুলাই ২০১৭ সালে হাজীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনা সৃত্রে জানাযায়, মিতু হত্যার ৭ দিন পূর্বে হযরত আলী দেশে আসে এবং ২২ জুলাই ২০১৭ সারের শনিবার মিতুকে নিয়ে চাঁদপুর ঘুরতে যায়। সেসময় মিত্যুকে জানায়, ২৩ জুলাই রবিবার রাতে তারা কয়েজন আমাদের বাড়ীতে আসবে। সেই দিন রাত ৯ টায় হযরত আলী মিতুর ফোনে জানায়, তাদের বাড়ীর সামনে রাস্তায় দাঁড়ানো আছে, তাদেরকে বাড়ীতে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মিতু তাদেরকে আনতে রাস্তায় যায়। মিতুর মা ঘর থেকে বের হয়ে দেখে ঘরের কোনায় মিতুর গলাকাটা নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। পরে ডাকচিৎকার দিলে আশে-পাশের মানুষ এসে স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানদের খবর দেযা হয়।

নিহত মিতু আকতারের মা রাবেয়া বেগম জানান, আমার মেয়ের সাথে মোবাইল ফোনের রং নাম্বারে পরিচয় হয় হযরত আলীর। পরিচয় সূত্রধরেই তারা হাজীগঞ্জ কাজী অফিসের মাধ্যমে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে। বিয়ের পর মিতু জানতে পারে কুমিল্লায় তার আরেকটা স্ত্রী আছে এবং তার সাথে যৌতুকের মামলা চলমান। মিথ্যা কথা বলে মিতুকে বিয়ে করায় শাশুড়ী ও ননদের সাথে মিতুর ঝগড়া হতো প্রায়ই। এমনকি মিতুকে যৌতুকের টাকার জন্য চাপদেয় মিতুর শাশুড়ী ও স্বামী। বিভিন্ন সময় তাকে মারধর করতো। ২০১৬ সারের ২৫ জুন নোটরী পাবলিকের মাধ্যমে তালাক দিয়ে বিদেশ চলে যায় হযরত আলী।

তবে ফাঁসির রায় শুনে মিতু আক্তারের মা রাবেয়া বেগম, ছোট বোন ইতি আক্তারসহ বাড়ী ও গ্রামবাসী খুশি এবং অতিদ্রুত ফাঁসি কার্যকরের আহবান জানান।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ২৬ মে ২০২৪