নগদ আড়াই লাখ টাকা ও মোবাইল চুরির অপরাধে ইকবাল (২৬) নামে আন্তজেলা চোরচক্রের সদস্যকে কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানার মানিরাজচর গ্রাম থেকে আটক করেছে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ইকবালকে পুলিশ কুমিল্লা থেকে চাঁদপুর মডেল থানায় নিয়ে আসে। ইকবাল মানিরাজচর গ্রামের মৃত রাজ্জাক মিয়ার ছেলে।
চাঁদপুর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আহসানুজ্জামান লাবু জানায়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার মুন্সিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুছের মিষ্টি ও কনফেকশনারী দোকানে ৬ সদস্যের চোরচক্র প্রবেশ করে। তারা অভিনব কায়দায় দোকানদারের দৃষ্টি অন্য দিকে ফিরিয়ে ক্যাশে থাকা আড়াই লাখ টাকাসহ ব্যাগ ও একটি মোবাইল নিয়ে যায়।
এই ঘটনায় কুদ্দুছের ভাই সহিদুল ইসলাম খন্দকার ২০ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর মডেল থানায় চুরি হওয়া মোবাইল নম্বর দিয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ইকবালকে মেঘনা থানা পুলিশের সহায়তায় তার বাড়ি থেকে আটক করতে সক্ষম হয়।
পুলিশ আরো জানায়, ইকবালের সাথে চোরচক্রের কালু, টিটু, সবুজ, আলমগীর ও মজিবর নামে ৫ সদস্য ছিলো। তারা লক্ষ্য নির্ধারণ করে, যে সব দোকানে ব্যবসায়িক লেনদেন বেশি হয়, সেসব দোকানে গিয়ে চুরি করে। অভিনব কায়দা হিসেবে সকালে দোকান খোলার সময় দোকানের সামনে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখে। দোকানদার যখন ময়লা পরিস্কারের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, এরই ফাঁকে চুরির কাজ করে। এছাড়াও চোর চক্রের সদ্যদের মধ্যে একজন দোকানদারের জুতা চুরি করে একটু দূরে সরিয়ে রাখে, দোকানদার যখন জুতা আনতে বেরিয়ে পড়ে, এই ফাঁকে তাদের কাজ উদ্ধার করে।
এ ধরনের অভিনব কায়দায় দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রায় শতাধিক চুরি ঘটনায় জড়িত ছিলো বলে পুলিশকে জানিয়েছে আটক ইকবাল। তবে এর পূর্বে কখনো পুলিশের হাতে আটক হয়নি।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ চাঁদপুর টাইমসকে জানান, আটক ইকবালের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে ৩০৮ ধারায় মামলা হয়েছে। দুপুরে তাকে আদালতে পাঠালে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
||আপডেট: ০৫:৩১ পিএম,১৫ অক্টোবর ২০১৫, বৃহস্পতিবার
এমএমএ/এমআরআর