Home / বিশেষ সংবাদ / কৌশলে বন্ধুত্ব থেকে প্রেম : যুবতীর আপত্তিকর ছবি তুলে প্রতারণার ফাঁদ
কৌশলে বন্ধুত্ব থেকে প্রেম : যুবতীর

কৌশলে বন্ধুত্ব থেকে প্রেম : যুবতীর আপত্তিকর ছবি তুলে প্রতারণার ফাঁদ

প্রথমে বন্ধুত্ব এরপর প্রেমের সম্পর্ক। ঘটনাচক্রে কৌশলে আপত্তিকর ছবি তুলে প্রতারণার ফাঁদ। এভাবেই রাজধানীর কাফরুল থানাধীন এলাকায় মালদ্বীপ প্রবাসী ধনাঢ্য ব্যক্তির সঙ্গে জোরপূর্বক যুবতীর আপত্তিকর ছবি তুলে মৃত্যু ও সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে একটি চক্র।

গত মঙ্গলবার রাতে এমন প্রতারক চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার ও মুক্তিপণ বাবদ আদায়কৃত ৩২ হাজার ২শ’ টাকা, ৩৩ মার্কিন ডলার এবং ৮টি মোবাইল সেট উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এরপর বুধবার পৌনে ১২টায় র‌্যাব-৪ দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিনায়ক (সিও) লুৎফুল কবীর।

আটকরা হলেন- মো. আব্দুল মালেক (৪৫), মোছা. রাশেদা বেগম ওরফে মিনু (৩৫), শিরিন আক্তার ওরফে মৌ (২৫), মো. খাইরুল আলম (৩৫), মো. ফারুক হোসেন (২৮), মো. শহিদুল ইসলাম (২৫) এবং মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে বাবু (২৫)।

র‌্যাব-৪ অধিনায়ক (সিও) লুৎফুল কবীর বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর কাফরুল থানাধীন ৪২৮, উত্তর ইব্রাহিমপুর (বর্ণমালা সড়ক) একটি বাসার নীচতলায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় অপহৃত মালদ্বীপ প্রবাসী মো. জিয়াউল হক পল্লবীর রোড নং-০২/এ ১৯ নং বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় এবং অপহরণকারীদের ৭ জনকে আটক করা হয়।

ভিকটিম জিয়াউল হক নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানার পশুকালীর গ্রামের মৃত নবী মিয়ার ছেলে।

র‌্যাব-৪ সিও আরো বলেন, অপহরণকারী আব্দুল মালেক রাশেদা বেগম ওরফে মিনুকে বাসার ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করতেন। কৌশলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রবাসী জিয়াউল হকের সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্ব এবং পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি করে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে ভিকটিমকে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে পল্লবীর রোড নং-০২/এ ১৯ নং ওই বাসায় ডেকে নেয়।

পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মোট ১০ জন অপহরণকারী চক্রের সদস্য বাসায় প্রবেশ করে জিয়াউল হককে জোরপূর্বক অপর এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করে। পরে অপহরণকারীরা নিজেদেরকে পুলিশ, সাংবাদিক ও এলাকার বড় ভাই হিসাবে পরিচয় দিয়ে ধারণকৃত ছবি পত্রিকায় প্রকাশ এবং তাকে থানা পুলিশে সোপর্দ করার ভয় দেখায়।

এ সময় জিয়াউল হককে মারধর করে নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া ভিকটিমকে মৃত্যুর ভয় প্রদর্শন করে আরো ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের জন্য ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজনের নিকট ফোন দিতে বাধ্য করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানায়, ইতিপূর্বেও তারা একই কৌশলে প্রবাসী ও ধনাঢ্য লোকজনকে পূর্ব ইব্রাহিমপুর, কাফরুলে বিভিন্ন বাসায় নিয়ে আটকে রেখে নিজেদের ভাড়াটে নারীদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি ধারণ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন অধিনায়ক (সিও) লুৎফুল কবীর।

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক ||আপডেট: ০৯:১৫ পিএম,১৪ অক্টোবর ২০১৫, বুধবার

 

এমআরআর