১৫ ঘন্টা পর কুমিল্লা ট্রেনের উদ্ধার কাজ শেষ হলে ঢাকা -চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হলো।
প্রায় ১৫ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রামের সাথে সারা দেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে এখনো লাইনচ্যুত হওয়া ৫ টি বগির উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে। পাশাপাশি লাইনের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে মেরামত কাজ চলমান রয়েছে।
রোববার দুপুর ২টার দিকে নাঙ্গলকোটের হাসান পুরে জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এঘটনায় চট্টগ্রামের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েযায়। এতে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বিভিন্ন স্টেশনে ১২টি ট্রেন আটকা পড়ে।
এ দুর্ঘটনার প্রায় ৭ ঘন্টা পর রাত ৯টার দিকে উদ্ধার কাজ শুরুকরে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
চট্টগ্রামস্থ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাত জানান, বিজয় এক্সপ্রেসের নয় বগি লাইনচ্যুত হওয়ার পরেই আমরা চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধারকারী ইঞ্জিন নিয়ে এসেছি। রাত ৯ টা ৫ মিনিটে উদ্ধার অভিযান শুরু
সাইফুল ইসলাম বলেন,,ভোর পৌনে ৫ টায় ঢাকা – চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে দূঘর্টনা কবলিত রেললাইন সাময়িক মেরামতের পর চট্টগ্রাম মুখী ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু। লাইন মেরামতের পরপরই লাকসাম রেলওয়ে জংশনে আটকে থাকা ঢাকা থেকে কক্সবাজার গামী পর্যটন এক্সপ্রেস গন্তব্য উদ্দেশ্য যাত্রা করেছে।
উল্লখ্য গতকাল রোববার (১৭ মার্চ) বেলা ২টার দিকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনের ১৮টি বগির মধ্যে ইঞ্জিনের সঙ্গের ৮ টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ছিটকে পড়ে যায়। এতে সারা দেশের সঙ্গে চট্রগ্রামের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় ৫০০ মিটার রেললাইন।
এদিকে দূর্ঘটনার কারন জানতে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিছুর রহমানকে প্রধান করে ৫ সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রতিবেদক: জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, ১৮ মার্চ ২০২৪