নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্মৃতি মনি (১৩) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত স্মৃতি মনি ফতুল্লার মধ্য ধর্মগঞ্জ এলাকার রমিজ দেওয়ানের বাড়ির ভাড়াটিয়া ফোরকান মৃধার মেয়ে। সে একই এলাকার আরাবিয়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী।
এ ঘটনায় ধর্মগঞ্জ এলাকার পুলিশ দুপুরে আবু বক্করের ছেলে হাবিব (২৪), মোকলেছুর রহমানের ছেলে ইব্রাহিম (২২) ও জামালের ছেলে নাহিদকে (২০) গ্রেফতার করেন।
রোববার সকালে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহরের জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
বাড়ির মালিকের স্ত্রী হালিমা বেগম জানান, ফোরকান ও তার স্ত্রী স্থানীয় একটি বাজারে মুদি দোকানদারী করেন। তাদের চার ছেলে তিন মেয়ের মধ্যে স্মৃতি মনি পঞ্চম। শনিবার সন্ধ্যার পর তাদের ঘরে ভাঙচুরের শব্দ পাই। তখন নামাজে ছিলাম। নামাজ শেষে তাদের ঘরে গিয়ে দেখি স্মৃতি মনির নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। পরে তার বাবা মাকে খবর দেয়া হয়।
স্মৃতি মনির মা তাসলিমা বেগম জাগো নিউজকে জানান, প্রতিদিনের মতো তারা স্বামী-স্ত্রী তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলেন। শনিবার রাতে বাড়ির মালিকের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে বাসায় এসে স্মৃতি মনির মরদেহ দেখতে পান বাবা-মা। কে বা কারা স্মৃতি মনিকে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন। তবে তাদের পরিবারের সঙ্গে কারো বিরোধ নেই। আমাদের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার পটুয়াখালীর পাডুখালী।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন জানান, স্থানীয় লোকদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির সময় প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্মৃতি মনিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আর এ ঘটনায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে নিহতের মা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ওই ছাত্রীকে একই এলাকার পাঁচজন ছেলে উত্যক্ত করে আসছিল। তারাই একত্রিত হয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। ঘটনাটি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১০:১৯ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০১৫, রোববার
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur