সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাঁচ দিনের সর্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব আজ মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে। সকালে মন্দিরে মন্দিরে দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা এবং সন্ধ্যায় আমন্ত্রণ ও অধিবাস অনুষ্ঠিত হবে। সারা দেশে দুর্গোৎসবের আমেজ বইছে। দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
রামকৃষ্ণ মিশনের নির্ঘণ্টে বলা হয়, শুক্রবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে মহাষষ্ঠীতে মায়ের চক্ষুদান হবে। সায়াংকালে কল্পারম্ভ, বোধন আমন্ত্রণ এবং অধিবাসের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠীপূজা সম্পন্ন হবে। সকাল থেকে মন্দির-মণ্ডপ চণ্ডিপাঠে মুখরিত হবে। শনিবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে মহাসপ্তমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। রোববার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে মহা-অষ্টমী এবং বেলা ১১টায় কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধিপূজা শুরু হবে রাত ৮টা ৬ মিনিটে। সোমবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে নবমী পূজা শুরু হবে। পরদিন মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৩০ মিনিট দশমী পূজা শুরু। সকাল ৯টা ৪৯ মিনিটের মধ্যে পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন হবে। সন্ধ্যায় আরাত্রিকের পর প্রতিমা বিসর্জন ও শান্তিজল গ্রহণের মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনের উৎসবের শেষ হবে।
পুরান ঢাকাসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে জমজমাট দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পূজা ও মহাপ্রসাদ বিতরণের পাশাপাশি ভক্তিমূলক সংগীতানুষ্ঠান, আরতি প্রতিযোগিতা, বস্ত্র বিতরণ, স্বেচ্ছা রক্তদান অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ঢাকায় রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ পূজামণ্ডপ, গুলশান বনানী সর্বজনীন পূজা পরিষদ মণ্ডপ, রমনা কালীমন্দির ও আনন্দময়ী আশ্রম, বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশান, সিদ্ধেশ্বরী কালীমাতা, ভোলানাথ মন্দির আশ্রম, জগন্নাথ হল, ঋষিপাড়া গৌতম মন্দির, শাঁখারী বাজারের পানিটোলা মন্দিরসহ বিভিন্ন মণ্ডপে দুর্গোৎসবের ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিবছর পুরান ঢাকায় সবচেয়ে বেশি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এবার ঢাকার ২৪৬টি মন্দিরের মধ্যে পুরান ঢাকায় শতাধিক মন্দিরে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।
টাইমস ডেস্ক/২০ অক্টোবর ২০২৩
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur