চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৭:২৭ অপরাহ্ন, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার
কীভাবে রাতে চিন্তা ও উদ্বেগ মুক্ত শান্তিপূর্ণ ঘুমানো যায় :
১) সকালে তন্দ্রা অবস্থায় দীর্ঘায়িত সময়সীমার জন্য বিছানায় না থাকা
২) ঘুম আনার জন্য দীর্ঘ সময় ব্যয় করবেন না। এক ঘন্টা থেকে আধা ঘন্টার মধ্যে ঘুম পেতে অসুবিধা হলে বিছানা থেকে উঠে শয়নকক্ষ ছেড়ে অন্যান্য কাজে নিয়োজিত হওয়ার চেষ্টা করুন। যেমন – একটি বই বা উপন্যাস পড়ার চেষ্টা করুন.
৩) ঘুমোতে যাওয়ার আগে সমস্যা ও উদ্বেগ নিয়ে চিন্তা করবেন না যা ঘুম আসতে সমস্যা সৃষ্টি করবে।
৪) যে সব উদ্বেগ ও সমস্যা ঘুমের সমস্যার সৃষ্টি করে তা কাগজে লিখুন এবং শান্তিপূর্ণ মনের সাথে বিছানায় ঘুমাতে যান।
৫) ঘুমানোর সময় কোনো বিষয় এ উদ্বেগ দেখা দিলে তা থেকে মনকে মুক্ত করার জন্য কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা বস্তুর উপর মনোযোগ একীভূত করতে হবে এবং তা বুঝার চেষ্টা করতে হবে।
৬) বিছানায় এমনভাবে পিঠ লাগায় শুইতে হবে যা আপনার সব অভ্যন্তরীণ অঙ্গকে সঠিকভাবে বিশ্রাম দিবে এবং এটি দেহ শিথিল করতে সেরা অবস্থান।
৭) কখনোই পেটের উপর ভর করে শোয়া যাবে না যা ফুসফুস সহ সব অভ্যন্তরীণ অঙ্গের উপর চাপের কারণ হিসাবে কাজ করে এবং এর ফলে শ্বাসক্রিয়ায় সমস্যা হয়।
৮) পিছন ফিরে পেট ঘেষে শুইলে তা পাচনতন্ত্র প্রশমিত এবং পাচন প্রক্রিয়া উন্নতিতে সহায়তা করে ফলে ভালো ঘুম হয়।
৯) যদি আপনার বেড পার্টনার নাক ডাকে তবে আলাদা রুম এ ঘুমান অথবা কান প্লাগ ব্যবহার করুন।
১০) ব্যথা নিয়া ভুগবেন না। যদি কোনো ব্যথার কারণে ঘুমের সমস্যা হয় তবে এর সমাধান সম্পর্কে পেশাদার চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
১১) প্রশান্তিতে নিদ্রার জন্য হাটুর নিচে এমনভাবে একটি বালিশ রাখুন যা আপনার লওয়ার ব্যাক চাপ উপশম করতে সহায়তা করবে।
১২) রাতে ঘুমানোর সময় ঘড়ি দেখা, ঘন্টা গণনা প্রভৃতি অভ্যাস বন্ধ করতে হবে কারণ এর ফলে ঘুমের সমস্যা হয়। তাই ঘুমানোর সময় ঘড়ি বন্ধ করে দুরে রাখতে হবে যাতে আপনি ঘড়ি সহজেই দেখতে না পারেন।
১৩) থ্রিলার, হত্যা এবং সাসপেন্স বই ও সিনেমা পরিহার করুন যা মস্তিষ্কের মধ্যে উদ্দীপনা ও মস্তিষ্ক সক্রিয় করে।
১৪) ঘুমানোর আগে মানসাঙ্ক করা থেকে বিরত থাকুন এর ফলে মস্থিস্ক ব্যস্ত থাকে এবং ঘুমের সমস্যা ঘটায়।
১৫) যদি বিনিদ্র রাত বা অনিদ্রাজনিত সমস্যা নিয়মিতভাবে দেখা দেই তবে ঘুমানোর সময় পরিবর্তন করতে হবে এবং দেরিতে ঘুমাতে জিতে হবে।
১৬) সর্বদা একই স্থানে ঘুমাতে চেষ্টা করুন, নিয়মিত ঘুমের স্থানের পরিবর্তন করলে ঘুমের বেঘাত ঘটে।
১৭) চোখ বন্ধ করুন এবং তিনবার ঊর্ধ্বমুখী করে এটি পাকান। এটি স্বাভাবিকভাবেই ঘটবে যখন ঘুমে পতিত হবেন এবং স্পষ্টরূপে শরীরে কিছু ঘুমজনিত রাসায়নিকের ট্রিগার ঘটাবে।
১৮) ওষুধের ব্যবহার না করে একটি ভাল ঘুম পেতে হালকা থেরাপি ব্যবহার করুন। হালকা থেরাপি বলতে একটি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত আলোর সংস্পর্শে আসা নিয়ে গঠিত। এটা স্বাভাবিক ঘুম জাগিয়ে চক্র উন্নীত ব্যবহৃত এবং ঘুম ব্যাঘাতের হ্রাস করা হয়।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫