চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১১:৫৫ অপরাহ্ন, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫, শনিবার
ঈদুল আজহা উপলক্ষে অগ্রিম টিকেট বিক্রির শেষ দিনে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে সিলেট, ময়মনসিংহ ও চাঁদপুরগামী ট্রেনের টিকেটের চাহিদা থাকলেও ঢাকার টিকেটের ক্রেতা ছিল কম।
শনিবার সকালে চট্টগ্রাম স্টেশনে যাত্রীর ভিড় ছিল শুক্রবারের তুলনায় কম। এদিন ২৪ সেপ্টেম্বরের অগ্রিম টিকেট বিক্রি হচ্ছিল।
সকাল ৯টায় টিকেট বিক্রি শুরুর পর সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট শেষ হয়ে যায়।
সকাল ১০টায় স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেস, বিজয় এক্সপ্রেস এবং সিলেটগামী পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেটের ক্রেতারা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।
কিন্তু ঢাকাগামী সুর্বণ এক্সপ্রেস ও তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য নির্ধারিত কাউন্টারে তখন ১০-১২ জন যাত্রী দাঁড়িয়েছিলেন।
সুর্বণ এক্সপ্রেসের টিকেট কেনা ব্যবসায়ী আজহারুল ইসলাম বলেন, আধ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েই টিকেট পেয়েছি।
তবে ফেনী, লাকসাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহগামী টিকেটের চাহিদা ছিল বেশি।
সকাল ১১টায় লাকসামগামী যাত্রী শিহাব মজুমদার বলেন, “চার ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে কাউন্টারে পৌঁছানোর পর বলা হয়, লাকসামের টিকেট নেই। এখন ফেনী পর্যন্ত টিকেট কেটেছি।”
চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “ঈদের আগের দিন ঢাকা যাওয়ার লোক কম। যারা যাবেন তারা দুদিন আগেই যাবেন। তাই শুক্রবার এই টিকেটের চাহিদা ছিল বেশি।
“তবে ফেনী, লাকসাম, চাঁদপুর, ভৈরব ও সিলেটের যেসব কর্মজীবী চট্টগ্রামে থাকেন, তারা হয়ত ঈদের আগের দিনই বাড়ি ফিরবেন। এছাড়া ময়মনসিংহগামী ট্রেন আছে মাত্র একটি। তাই এসব গন্তব্যের টিকেটের চাহিদা বেশি।”
শনিবার চট্টগ্রাম স্টেশনে ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের ৫২৬টি, তূর্ণার ৫২৩টি, মহানগর গোধূলির ৫৫৯টি, প্রভাতীর ৫৮৫টি, সিলেটগামী পাহাড়িকার ৩৭৩টি ও উদয়নের ৩২১টি, চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৬৩৩টি, ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ৪৪৩টি এবং চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৩২৫টি টিকেট বিক্রির জন্য ছিল।
এছাড়া চাঁদপুরগামী দুটি স্পেশাল ট্রেনের মোট এক হাজার ২৪৮টি টিকেটও ছিল কাউন্টারে।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/ এমআরআর/২০১৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur