ছুরিকাহত হয়ে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা এক সাব ইন্সপেক্টর (এস আই)’কে বাঁচাতে দায়িত্বশীল ভুমিকা রেখে প্রশংসায় ভাসছেন ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার পুলিশ সুপার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন।
ঘটনাটি ১৫ জানুয়ারী রোববার দিবাগত রাতের। ৯৯৯-এ কল আসে মানসিক সাম্যহীন এক সন্তান তার বাবা মাকে বেঁধে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে বাইরে তালা দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এমন চাঞ্চল্যকর ফোন কলে সাড়া দিয়ে ছুটে যান ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর আতিকুল্লাহ। তিনি তার টিম নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে, ফায়ার সার্ভিসকে সাথে নিয়ে উদ্ধার করেন বাবা মাকে।
এরপর মানসিক সাম্যহীন (কথিত) সন্তান সাইদুরকে আটকের জন্য কাছে যেতেই এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে আতিকুল্লাকে। আঘাত লাগে পাঁজরের ডানপাশে, পেটে ও হাতে।
অনবরত রক্তক্ষরণে চোখের সামনে নিস্তেজ হতে থাকে আতিক। জীবনমৃত্যু সন্ধিক্ষণে তাকে বাঁচাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজ হয়। যা ব্রাহ্মণবাড়ীয়াতে সম্ভব ছিলো না। সড়কপথে এ্যাম্বুলেন্স করে ঢাকায় নিয়ে যেতেও অনেক সময়ের ব্যপার।
এরই মধ্যে তাকে বাঁচাতে অস্থির হয়ে পড়েন জেলা পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন। এমতাবস্থায় রাতের কারনে কোন প্রাইভেট হেলিকপ্টারও পাওয়া যাচ্ছিলো না।
অবশেষে, আইজিপি’র সহযোগিতায় রাতের আকাশেই উড়ে আসে র্যাবের এয়ার এ্যাম্বুলেন্স।
দ্রুততম সময়ে মুমূর্ষু সাব-ইন্সপেক্টর আতিকুল্লাহকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে। সেখানে উন্নত চিকিৎসায় আশঙ্কা মুক্ত হন তিনি।
সাব-ইন্সপেক্টর আতিকুল্লাহর ছুরিকাহত হওয়া এবং এসপির তৎপরতার খবর রাতেই ছড়িয়ে পরে।
এদিকে গভীর রাতে এবিষয়ে নিজের ফেইসবুকে একটি পোস্ট লিখেন পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন। সেখানে অসংখ্য কমেন্ট আসতে থাকে। এসপির ভুমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন সবাই। রীতিমতো নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছেন পুলিশ সুপার।
এসপির দেয়া সেই ফেইসবুক পোস্ট:
“ভালোলাগা অনুভূতি…..!
গুরুতর আহত পুলিশ সদস্যকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে র্যাবের এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে ঢাক মেডিকেলে প্রেরন করার ফলে মৃত্যুর ঝুঁকি কমানো গেছে। আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি সাব-ইন্সপেক্টর আতিকুল্লাহর অপারেশন চলছে।
৯৯৯ কল আসে মানসিক সাম্যহীন সন্তান সাইদুর বাবা মাকে বেধেঁ ঘরের মধ্যে আটকে বাইরে তালা দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। সাব-ইন্সপেক্টর আতিকুল্লাহ তার টিম নিয়ে দ্রুত পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। ফায়ার সার্ভিসকে সাথে নিয়ে উদ্ধার করে বাবা মাকে।
এরপর আটকের জন্য কাছে যেতেই সাইদুর তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে আতিকুল্লাকে। আঘাত লাগে পাঁজরের ডানপাশে, পেটে ও হাতে।
অনবরত রক্তক্ষরণে চোখের সামনে নিস্তেজ হতে থাকে আতিক। প্রয়োজন হয় দ্রুততম সময়ের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার। কোন প্রাইভেট হেলিকপ্টারও পাওয়া যাচ্ছিলো না রাতের কারনে।
অবশেষে, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের উর্দ্ধতন স্যারদের পরামর্শ এবং প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে, মাননীয় আইজিপি স্যার এবং ডিজি র্যাব স্যারের নির্দেশে রাতের আকাশেই উড়ে এলো র্যাবের এয়ার এ্যাম্বুলেন্স।
একঘন্টার মধ্যে আতিকুল্লাহ পৌঁছে গেলো ঢাকা মেডিকেলে, আলহামদুলিল্লাহ। চিকিৎসা চলছে।
একজন পুলিশ সদ্স্যর জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বিরামবিহীন ভাবনা, আইজিপি স্যার এবং ডিজি র্যাব স্যারের মহানুভবতা সকল পুলিশ সদস্যকে কর্মস্পৃহা ও অনুপ্রেরণা যোগাবে।
অসীম কৃতজ্ঞতা স্যারদের প্রতি।”
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur