দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিতর্ক চর্চা শুরু করতে চান বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে বিতর্ক চর্চার দীর্ঘ দিনের একটা ঐতিহ্য রয়েছে। আমরা আমাদের স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়েও এর চর্চা শুরু করতে চাই। যেখানে বিতর্ক চর্চা নেই সেখানে শুরু করতে চাই। আর যেখানে আছে সেখানে আরও ভালো করতে চাই।’
শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজে একটি বিতর্ক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের নতুন প্রজন্মকে মুক্ত চিন্তার মানুষ হিসেবে, যুক্তিবাদী মানুষ হিসেবে, প্রযুক্তি বান্ধব নয়া প্রযুক্তি উদ্ভাবনে দক্ষ, মানবিক ও সৃজনশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বিতর্ক চর্চা মানুষকে যুক্তিবাদী হতে শেখায় এবং ভাষার ওপর দক্ষতা বাড়ায়। সবচেয়ে বড় কথা, তাদের পরম সহিষ্ণু হতে শেখায়।’
জাতীয় পর্যায়ের এ বিতর্ক উৎসবে সারা দেশের ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় ১৫০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেড় হাজার বিতার্কিক অংশ নিয়েছেন। বিতার্কিকদের সঙ্গে শিক্ষকসহ সবমিলিয়ে প্রায় ৭ হাজার লোকের সমাগম হয়েছে এ উৎসবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশন (বিডিএফ) সাবেক সভাপতি ডা. আব্দুন নূর তুষার, চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অশিত বরণ দাস, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম রোমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দিনসহ অনেকে।
এর আগে ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ স্মারক জাতীয় বির্তক উৎসব-২০২২ উদ্বোধন উপলক্ষে র্যালিতে অংশগ্রহন করেন ডা. দীপু মনি।
প্রসঙ্গত, শিক্ষামন্ত্রীর বাবা এম এ ওয়াদুদের নামে চাঁদপুরের বিতর্ক সংগঠন চাঁদপুর ডিবেট মুভমেন্টের আয়োজনে বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ স্মারক জাতীয় বিতর্ক উৎসব-২০২২’। গতকাল শুরু হওয়া বিতর্ক প্রতিযোগিতা চলবে আগামীকাল পর্যন্ত।
স্টাফ করেসপন্ডেট,১৪ অক্টোবর ২০২২