Home / চাঁদপুর / পালাতক সেই এজেন্ট ব্যাংক মালিকের অংশিদারীত্ব নিয়েও প্রবাসীর সাথে প্রতারণা
পালাতক

পালাতক সেই এজেন্ট ব্যাংক মালিকের অংশিদারীত্ব নিয়েও প্রবাসীর সাথে প্রতারণা

গ্রাহকদের অর্ধ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া চাঁদপুরের আলোচিত সেই এজেন্ট ব্যাংকের সত্ত্বাধিকারী মোশারফ হোসেন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে আরো একটি প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবারে অংশীদারীর ভিত্তিতে এজেন্ট ব্যাংক পরিচালনার চুক্তি ভঙ্গ ও প্রবাসীর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

যৌথ মালিকানায় এজেন্ট ব্যাংক পরিচালার কথা বলে মো. মাসুদ রানা নামে এক প্রবাসীর সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা মেরে দিয়েছে এই প্রতারক।

গতকাল ৯ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘এজেন্ট ব্যাংক মালিকের অর্ধকোটি টাকা নিয়ে পালাতক’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ পড়ে ওই প্রবাসী প্রতারনার বিষয়টি নিশ্চিত হন।

এ বিষয়ে প্রবাসী মো. মাসুদ রানা অভিযোগ করে বলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী চৌরাস্তা এলাকায় যৌথভাবে এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবসা (ইসলামী ব্যাংক) পরিচালনা করার জন্য মোশারফ হোসেন পাটওয়ারীকে তিনি ১২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন। অংশীদারী চুক্তির ৩নং শর্ত অনুযায়ী তিনি ব্যাংকের লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ পাওয়ার কথা। কিন্তু ২০১৯ সালে ব্যবসা শুরুর পর থেকে আজ পর্যন্ত তার হিসাব বুঝে পাননি। এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে তাকে আশার ফুলঝুরি আর নানা অযুহাত দেখানো হতো। এরমধ্যে কিছুদিন পূর্বে বিভিন্ন মাধ্যমে মোশারফ হোসেন পাটওয়ারীর উধাও হবার কথা তিনি শুনতে পান। ৯ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ দেখে বিষযটি তিনি নিশ্চিত হন। এ অবস্থায় বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এ প্রবাসীও। কষ্টার্জিত টাকা ফেত পাবার বিষয়ে তিনিও প্রশাসনের কাছে সুবিচার দাবী করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাগাদী এজেন্ট শাখা বন্ধ এবং এজেন্ট সত্ত্বাধিকারী মোশারফের পলাতকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড চাঁদপুর শাখার ভিপি ও শাখা প্রধান মো. দাউদ খান।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এজেন্ট ব্যাংক মালিক মোশারফের প্রতারণার শিকার হয়েছেন গ্রাহক মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান (৩ লাখ টাকা),  বাগাদীর খোরশেদ আলমের স্ত্রী (৪ লাখ টাকা), চান্দ্রা মদনের গাঁও গ্রামের রেহেনা আক্তার (৮ লাখ টাকা), মো. সফিক গাজী (২ লাখ ২০ হাজার টাকা)সহ আরো অনেকে।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড চাঁদপুর শাখার ভিপি ও শাখা প্রধান মো. দাউদ খান জানান, প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ আসার পর থেকে আমরা তাদের বিষয়ে সতর্ক হয়েছি। যাদের সাথে প্রতারণা করেছে তাদেরকে ব্যাংকের নিয়মানুসারে মামলার করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। সর্বশেষ গত ২৫ আগস্ট বাগাদী এজেন্টে গিয়ে মোশারফকে খুঁজে পাইনি। এরপর ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ২৮ আগস্ট এজেন্ট বন্ধ করে দিয়েছি। 

প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম,৯ সেপ্টেম্বর ২০২২