চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেডের তিন নদীর মোহনায় ঈদের আনন্দে মেতেছেন দর্শনার্থীরা। চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার মানুষ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় কাটাচ্ছেন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সমাগমে মিলনমেলায় রূপ নিয়েছে তিন নদীর মোহনা।
পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদী ঘিরে শহরের চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেডে তৈরি হয়েছে দর্শনীয় স্থান। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যটকরা কেউ চাঁদপুর এলে সবার আগে বড় স্টেশন মোলহেডে ঘুরতে যান। এ কারণে স্থানটি দেশব্যাপী জনপ্রিয়।
করোনার সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর ঈদকে কেন্দ্র করে মোলেহেড দর্শনার্থীদের প্রবেশে বিধিনিষেধ ছিল। তবে এ বছর করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় কোনও বাধা নেই মোলেহেড সময় কাটানোর। তাই ঈদের পরদিন থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীর আগমনে মুখর হয়ে উঠছে তিন নদীর মোহনা। ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ও নৌকা নিয়ে নানা বয়সী নারী, পুরুষ ও শিশুরা নদীর পানিতে ছোটাছুটি করছেন। নদীর এ পাড় থেকে ওই পাড়ে দর্শানার্থীদের নিয়ে ছুটছে স্পিডবোট।
তিন নদীর মোহনায় ঘুরতে আসা নাসরিন আক্তার, সৈয়দ শিপুল, মো. আলাউদ্দিন ও সালাউদ্দিন আহমেদ দুলাল বলেন, ‘চাঁদপুরে দর্শনীয় স্থানের মধ্যে তিন নদীর মোহনা সবাইকে মুগ্ধ করে। ঈদ উৎসব ছাড়াও এখানে মানুষজন ঘুরতে আসে। আমরা ঈদের ছুটিতে পরিবার-পরিজন এবং বন্ধুবান্ধব নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছি। মোহনীয় একটি স্থান তিন নদীর মোহনা। এখানে যে কেউ এলেই মুগ্ধ হবে।’
নৌকার মাঝি জব্বার খান বলেন, ‘প্রতিদিন তিন নদীর মোহনায় প্রচুর দর্শনার্থী আসছেন। ঈদের পরদিন থেকেই মানুষের আগমন বেশি। এ সময় আমাদের আয় ভালো হয়।’
চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াস বলেন, ‘ঈদের আগে থেকেই বড় স্টেশন মোলহেড (বঙ্গবন্ধু পার্ক) দর্শনার্থীদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য পৌরসভার কর্মী ও পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন। এছাড়া আমি সার্বক্ষণিক নজর রাখছি।’
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘পর্যটন কেন্দ্রসহ শহরের সব স্থানে পুলিশ রয়েছে। মানুষের নিরাপত্তায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। যেকোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে সতর্ক অবস্থানে আছে পুলিশ।’
চাঁদপুর করেসপন্ডেট, ১৩ জুলাই ২০২২
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur