কলা এক প্রকারের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ফল। সাধারণত উষ্ণ জলবায়ু সম্পন্ন দেশসমূহে কলা ভাল জন্মায়। তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াই কলার উৎপত্তিস্থল হিসাবে পরিগণিত। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বহু দেশে কলা অন্যতম প্রধানফল।
বাংলাদেশের নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, ময়মনসিংহ, যশোর, বরিশাল, বগুড়া, রংপুর, জয়পুরহাট, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, প্রভৃতি এলাকায় শত শত বছর যাবৎ ব্যাপকভাবে কলার চাষ হয়ে আসছে। বাংলাদেশে কলা চাষের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল সারা বছর এ দেশের প্রায় সব অঞ্চলের উঁচু জমিতেই এর চাষ করা যায়।
চাঁদপুরে বেড়েছে কলার চাষ। নিজেরাই উৎপাদন করে জেলায় কলার চাহিদা মেটানোর কথা বলছেন কলা চাষিরা।
বাবুরহাটের কলার আড়তের মালিক মালেক খান বলেন, আমরা বিভিন্ন জাতের কল বিক্রি করি। এর মধ্যে সবরি, বাংলা, চাঁপা, সাগর সহ আরো অন্যান্য জাতের রয়েছে। এসব কলা রংপুর, খাগড়াছড়ি এলাকা থেকে ট্রাকে করে নিয়ে আসা হয়। এখন চাঁদপুরে চাষ হলে আমাদের অন্য কোথাও থেকে আনতে হবে না। তখন দামও কম থাকবে।
আরেক আড়তদার বলেন, বাইরের জেলা থেকে কলা নিয়ে আসলে খরচ বেশি পড়ে । তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। এ অঞ্চলে উৎপাদন বাড়লে বাইরের জেলা থেকে আনতে হবে না ফলে দামও কম থাকবে।
চাঁদপুর জেলার কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এবছর প্রায় ৮৫ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। যাতে প্রায় ৯০০ মেট্রিক টন কলা উৎপাদন হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এর আগে ৬০ হেক্টরে ৬২৫ মেট্রিক টন কলা উৎপাদন হয়েছিল। আগামীতে উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
চাঁদপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ মুরাদুল হাসান বলেন, দিন দিন কলা চাষে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। আমরা কলার পরিচর্যা ও রোগ নির্ণয়ের এবং প্রতিকারের জন্য সকল পরামর্শ দিয়ে আসছি। আগামীতে কলার চাষ আরো বাড়বে এবং জেলার কলার চাহিদা মেটাতে চাষিরা সক্ষম হবে বলে তিনি মনে করেন।
স্টাফ করেসপন্ডেট, ৮ জুলাই ২০২২