বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী,সেতুটি জিডিপিতে ৪২ হাজার ৩৬২.২১ কোটি টাকা যোগ করবে; যা জিডিপির ১.২%-এর সমান ।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে প্রতি মাসে ১৩৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা টোল আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে মোংলা ও পায়রা বন্দরের যোগাযোগ সহজতর করার সঙ্গে সঙ্গে পদ্মা সেতু দেশের দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ১.২% প্রবৃদ্ধি আনবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী,সেতুটি জিডিপিতে ৪২ হাজার ৩৬২.২১ কোটি টাকা যোগ করবে; যা জিডিপির ১.২%-এর সমান।
সরকারের সেতু বিভাগ অর্থ বিভাগ থেকে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যা ১% সুদসহ ৩৬ বছরের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পদ্মা সেতু দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন থেকে এই টোল আদায় করা হবে।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে প্রতি মাসে ১৩৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা টোল আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। সেই টাকা ১৪০ কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে। এ জন্য সরকার বছরে এক হাজার ৬০৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা টোল আদায় করতে চায়।
সরকার ইতোমধ্যে যানবাহনের টোল হার নির্ধারণ করেছে। দেশের সবচেয়ে বড় এই সেতুতে দুই ধরনের টোল আদায় হবে। এর মধ্যে একটি হল সরাসরি টোল পরিশোধ করা যায়। চালকরা অগ্রিম রিচার্জ করে কার্ড দেখিয়ে টোল পরিশোধ করতে পারবেন। এর জন্য টোল প্লাজায় যানবাহন থামাতে হবে না।
পদ্মা সেতু প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন,“দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প পদ্মা সেতু দেশের জনগণের টাকায় নির্মিত হয়েছে। উদ্বোধনের পর সেতুটির টোল আদায় করবে কোরিয়া এক্সপ্রেস করপোরেশন এবং চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি। সরকার ইতিমধ্যে তাদের নিয়োগ দিয়েছে।”
টোল আদায়ের পাশাপাশি কোম্পানিগুলো সেতুর ঋণ পরিশোধ করবে এবং ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজও করবে তারা।
শফিকুল বলেন, “সেতুটি নির্মাণে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে তা ৩০-৩৫ বছরের মধ্যে পরিশোধিত হবে। তবে আনুমানিক টোল আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা যথাসময়ে অর্জিত হলে ২০-২৫ বছরের মধ্যে সেতুর পুরো খরচ আদায় করা সম্ভব হবে।”
২৬ জুন ২০২২
এজি