Home / জাতীয় / ভর্তির ক্ষেত্রে অসুস্থ প্রতিযোগিতা নয়: শিক্ষামন্ত্রী 
ভর্তির

ভর্তির ক্ষেত্রে অসুস্থ প্রতিযোগিতা নয়: শিক্ষামন্ত্রী 

শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অসুস্থ প্রতিযোগিতায় না নামার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির অসুস্থ প্রতিযোগিতা দেখা যায়। সবার প্রতি আহ্বান, এটাতে যেন কেউ না নামেন।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এতে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে তিনি শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি প্রদান করেন। এ সমাবর্তনে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ১ হাজার ৬৯৩ জন শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া মেধাবী দুজন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় স্বর্ণপদক।

সকল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির আগে শিক্ষার মান অর্জনের দিকে মনোনিবেশ করা অনেক বেশি জরুরি। অথচ প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ই ধারণক্ষমতা বিবেচনায় না নিয়ে শিক্ষার্থী বাড়ানোর অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নামছে। এর প্রত্যক্ষ কুফল আমরা দেখতে পারছি। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার জায়গা নেই, খেলাধুলার জায়গা নেই, সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্যও আলাদা জায়গা নেই। এ ছাড়া আরও অনেক সমস্যা তো রয়েছেই।’

কোভিড-পরবর্তী বিশ্ব পরিস্থিতি অনেক পরিবর্তিত হয়েছে। তাই চলমান পৃথিবীর সঙ্গে তাল মেলানোর পাশাপাশি আগামী দিনের উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে শিক্ষা খাতকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘এই মাস্টারপ্ল্যানে ই-লার্নিংয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’ 

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে যত বাধাই আসুক, হতাশ হওয়া যাবে না।’

বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এমএ সাত্তার মণ্ডল।

আরও বক্তব্য রাখেন ইস্ট ওয়েস্ট ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এম শহিদুল হাসান।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, উপউপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপারসন, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, গ্র্যাজুয়েট ও তাদের অভিভাবকেরা অংশ নেন। শিক্ষা জীবনের শেষে যথাসময়ে সনদ হাতে পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।

বার্তা কক্ষ, ১০ মে ২০২২