জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনার প্রেক্ষিতে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ইলিশের আবাসস্থল নিরাপদ রাখতে এবং সরকারি সম্পদ রক্ষায় ২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসন, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌ-পরিবহন দফতরের কর্মকর্তা এই অভিযানে অংশ নেন। প্রথম দিন রাজরাজেশ্বর চর এলাকায় মাত্র ১ঘন্টার সাঁড়াশি অভিযানে ৩টি ড্রেজার ও ৮টি বালু পরিবহনকারী বাল্কহেড জব্দ করা। এছাড়াও এই ১১টি নৌ-যানের ২ জন করে চালক ও সুকানিসহ মোট ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন চাঁদপুর সদরের এসিল্যান্ড মোঃ হেলাল চৌধুরী, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মাহমুদ ডালিম, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন, নৌ পরিবহন অধিদপ্তর পরির্দশক মোঃ মিলন মোল্লা।
চাঁদপুর নৌ পুলিশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসন ও কোস্টগার্ডের সাথে আমাদের নৌ-পুলিশের ৪টি ইউনিট একযোগে অভিযানে অংশগ্রহণ করে। সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৩টি ড্রেজার ও ৮টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ১১ নৌ-যানের ২২ জনকে আটক করা হয়েছে।
নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের এসপি মো. কামরুজ্জামান জানান, সকাল ৮টা থেকে অভিযান শুরু হয়েছে। যেসব ড্রেজার ও বাল্কহেডের রেজিস্ট্রেশন নেই, সেগুলো জব্দ করা হচ্ছে। অভিযান এখনো চলমান রয়েছে।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ও সদর উপজেলার এসি ল্যান্ড মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন, এখনো অভিযান শেষ হয়নি। যেসব অবৈধ নৌযান জব্দ করা হবে সেগুলো নৌপুলিশকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। নৌপুলিশকে আমরা চিঠি দিয়েছি। তারা এ অভিযান অব্যাহত রাখতে পারবে।
প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, আশিক বিন রহিম ২৪ মার্চ ২০২২