চাঁদপুর টাইমস, টাঙ্গাইল:
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে তৃতীয় শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আর এ ঘটনায় গ্রাম্য শালিশে শুধু কান ধরে উঠ বস করেই শিশুকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে গৌরাঙ্গ (১৯) নামের এক লম্পটকে গ্রাম মাতাব্বররা। এ চাঞ্চলকর ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়রের বলরামপুর গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামে স্থানীয় সুজনের বাড়ির পাশে খেলা করছিল তৃতীয় শ্রেণীর ওই শিশু। এ সময় একই গ্রামের ভজনের ছেলে লম্পট গৌরাঙ্গ তাকে কৌশলে সে বাড়ির পাশেই রনজিতের ঘরে ডেকে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি অসুস্থ অবস্থায় বিষয়টি তার পরিবারের লোকজনের কাছে খুলে বলে। কিন্তু সম্মানহানীর ভয়ে মেয়ের পরিবারের লোকজন বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলেও পরিবারের চাপা কান্নায় আস্তে আস্তে তা প্রকাশ পেয়ে যায়। পরে তোলপাড় শুরু হয় এলাকায়।
এ নিয়ে স্থানীয় গাবসারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিজয় চন্দ্র সরকার ওরফে ক্ষেত্র মাস্টারের নেতৃত্বে গ্রাম্য মাতাব্বর সুদেব কর্মকার, সুজন কর্মকার, সন্তোস কর্মকারের উপস্থিতিতে গত মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে সালিশি বৈঠক বসে। সালিশ বৈঠকে অভিযুক্ত গৌরাঙ্গ ধর্ষণের কথা স্বীকার করে মাফ চায়। উপস্থিত মাতাব্বররা তাকে চড় থাপ্পড় ও কান ধরে উঠ বসের মাধ্যমে বিচার সম্পন্ন করে। বিচারকদের এধরনের পক্ষপাতিত্ব দেখে সমাজের আনাচে-কানাচে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। সালিশি বৈঠকের বিষয়ে বিজয় চন্দ্র সরকার ওরফে ক্ষেত্র মাস্টার বলেন, উভয় পরিবারের লোকজন মিলে যাওয়ায় গৌরাঙ্গকে দোষী সাব্যস্থ করে মারধর ও কান ধরে উঠ বসের মাধ্যমে বিচার করা হয়েছে।
এব্যাপারে অর্জুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী মোল্লা বলেন, আমি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আছি। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফজলুল কবির বলেন, এ নিয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি । অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চাঁদপুর টাইমস- ডিএইচ/2015।