চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বুধবার ১২ থেকে ১৮ বছরের প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ প্রদান করা হয়েছে।
এ নিয়ে গত ৬ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি এই ছয় দিনে ২০ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ টিকার আওতায় আনা হয়েছে। আজ বুধবার ১২ জানুয়ারি সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ষষ্ঠ দিনের মতো এ টিকাদান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারী অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন। তারা মাঠ পর্যায়ের ইপিআই শিশুদের টিকাদান কাজ ঠিক রেখে তারা শিক্ষার্থীদের টিকাদানে কাজ করে চলেছেন।
দুপুরে এ টিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শনে করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা.মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন।
এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ নুসরাত জাহান মিথেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাইয়ুম খান,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ান ভাষান চন্দ্র কীর্তনিয়া, স্বাস্থ্য পরিদর্শক সুভাষ চন্দ্র, স্বাস্থ্য সহকারী মোঃ কামাল হোসেনসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এ টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন।
টিকা গ্রহনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থীরা জানান, টিকা না নিলে ১৫ তারিখের পর স্কুলে যেতে পারবো না। ভয়ের মধ্যেও টিকা নিয়েছি। তবে টিকা নেওয়ার পর ভয় কেটে গেছে। টিকা নিতে পেরে সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
এই বিষয়ে উপজেলা মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট এম.টি ইপিআই (টেকনিশিয়ান) ভাষান চন্দ্র কীর্তনিয়া জানান গত ৬ জানুয়ারি সরকারের নির্দেশে মতলব উত্তরে ১২-১৮ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু করেছি। উৎসবমুখর পরিবেশেই কোভিড-১৯ ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ প্রদান করা হচ্ছে। প্রথম দিন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত টিকাদান কার্যক্রমে কোনো সমস্যা হয়নি। শিক্ষার্থীরা বেশ ভালোভাবেই আগ্রহ সহিত টিকা গ্রহণ করছে। আজ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা প্রদান করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur