বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যেতে পারে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড চতন্তর গ্রামের মোল্লা বাড়ির সেকান্ত বাদশা (২৩)। টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে না পারায় দিন দিন আরো ভয়াবহ আকার ধারন হওয়ার দৃশ্য দেখতে হচ্ছে গর্ভধারিণী মা ও জন্মদাতা বাবাকে।
ডাক্তার জানিয়েছেন, ৭ তলা উপর থেকে পরে গিয়ে পা’সহ শরীর বিভিন্ন অঙ্গ পতঙ্গ ভেঙ্গে গিয়েছে। চিকিৎসা হলে ভাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু কৃষি কাজ করে অভাবের সংসারে দু’বেলা দু’মুঠো ভাত খাওয়াই যেখানে কষ্টকর, সেখানে প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর প্রায় ১০ হাজার টাকা ও প্রতিদিনের ব্যায়বহুল ঔষধের টাকা খরচ করে চিকিৎসা করার চিন্তাই বৃথা। ফলে দিন দিন বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়ছে সেকান্তর বাদশা।
মোঃ মনু মিয়া মোল্লার দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে ছোট ছেলে সেকান্তর বাদশা পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। চলতি বছরের গত ৩ মার্চ ঢাকার গুলিস্তানে একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের ৭তলা থেকে লিফট এর কক্ষে কাজ করা অবস্থায় পা পিছলে নিচে পড়ে যায়। পরে সহকর্মী ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ভর্তি না করালে পরবর্তীতে ধানমন্ডি নিউ লাইফ হাসপাতালে আইসিউতে ভর্তি করান।
জ্ঞানহীন ১৫ দিন পর চোখ খুলেছে সেকান্তর বাদশা। এই সাড়ে ৮ মাসে ছেলের পেছনে দিনমজুর কৃষক বাবার প্রায় ১৬ লাখ টাকার মত খরচ হয়েছে। এর মধ্যে ছেলেকে বাঁচাতে মাঠের সবটুকু সম্পদ বিক্রি করে দিয়েছেন অসহায় বাবা। বিত্তশালী ব্যক্তিদের কিছু আর্থিক সহযোগিতা ও বিভিন্ন বাজারে কালেকশনের মাধ্যমে এ পর্যন্ত চলেছে ছেলের চিকিৎসাজীবন।
শেষ মুহুর্তে এসে যেন দেওয়ালের সাথে পিঠ ঠেকে গেছে বাবা মনু মিয়া মোল্লার। ছেলের দৈনিক ঔষধ আর ডাক্তার ও পরীক্ষা নিরিক্ষার খরচ জোগার করা যেন অসাধ্য।
সেকান্তর বাদশার বাবা মনু মিয়া জানান, টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় চোখের সামনে সন্তানের করুন দৃশ্য আর সহ্য করতে পারছি না। ডাক্তার জানিয়েছেন, উপযুক্ত চিকিৎসা পেলে আমার সন্তান সুস্থ হয়ে উঠবে। সেকান্তর বাদশার মা বিত্তবানদের কাছে তার সন্তানের জীবন ভিক্ষা চেয়েছেন। এ প্রতিনিধিকে দেখে অসুস্থ সেকান্তর বাদশা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং কান্নাজড়িত কন্ঠে বলে উঠেন, আমি বাঁচতে চাই। আমাকে বাঁচিয়ে তুলেন আপনারা।
তাই এই অসহায় বাবা-মা ও অসুস্থ ছেলের পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন সরকারি নিবন্ধনকৃত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রভাত সমাজকল্যাণ সংস্থা, চাঁদপুর শাখার নেতৃবৃন্দ। উক্ত অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িতে ও অসুস্থ সেকান্তর বাদশাকে সুস্থ করে তুলতে প্রয়োজন বিপুল অংকের আর্থিক সহযোগিতা।
এমতাবস্থায় যে কোন হৃদয়বান বা বিত্তবান ব্যক্তি এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন তার পরিবার। আর্থিক সহযোগিতার জন্য নিম্নের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হইল। সেকান্তর বাদশার বাবা- ০১৮৩৮৪৭৯৭৭০, প্রভাত সমাজকল্যাণ সংস্থা- ০১৮৫৯৫৭৫৫৬৪, প্রতিবেদক- ০১৮৩০৮৮৫০০০।
স্টাফ করেসপন্ডেট
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur