চাঁদপুর টাইমস ডেস্ক:
‘নাস্তিক’ ব্লগার হত্যার ধারাবাহিকতা চলছেই। ধর্ম অবমাননা করে ব্লগ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন লেখালেখির কারণে এই ব্লগারদের হত্যা করা হচ্ছে। তবে ঠিক কারা এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না পুলিশ।
এর আগে ‘নাস্তিক ব্লগারদের’ তালিকা দিয়ে উড়োচিঠিতে তাদের হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল। এবং হত্যার পরপর কোনো না কোনো গোষ্ঠী দায় স্বীকার করে বিবৃতিও দিচ্ছে।
এবার ‘নাস্তিক’ আখ্যা পেলেন সরকারের চার মন্ত্রী। এরা হলেন- কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বেসরকারি বিমার ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। এদের ‘নাস্তিক মুরতাদ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন উলামা কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাওলানা যোবায়ের আহমেদ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটের সামনে ‘ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাশ করার দাবিতে’ খেলাফতে ইসলামী বাংলাদেশ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ আখ্যা দেন।
যোবায়ের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর চার পাশে নাস্তিক-মুরতাদরা রয়েছে। এই নাস্তিক-মুরতাদ মতিয়া চৌধুরী, সুরঞ্জিত, ইনু, রাশেদ খান মেনন। এই নাস্তিকরা প্রধানমন্ত্রীকে ঘেরাও করে রেখেছে। এই নাস্তিকদের কারণেই নাস্তিক মুরতাদদের বিরুদ্ধে সংসদে আইন পাস হচ্ছে না।’
এসময় ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান ও খেলাফতে ইসলামীর আমির মাওলানা আবু হাসানাত আমিনী প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি যদি নাস্তিক-মুরতাদদের প্রধানমন্ত্রী না হন, মুসলমানদের প্রধানমন্ত্রী হন তাহলে আইন পাস করুন। নাস্তিক মুরতাদরা যেভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, এদের বিরুদ্ধে আইন পাস করতে হবে। যদি আইন না পাস করে আমরা সংসদ অভিমুখে লংমার্চ করবো ইনশাল্লাহ।’
তিনি আরো বলেন, ‘নাস্তিক-মুরতাদ লতিফ সিদ্দিকীর যদি বিচার না হয়, বাংলার জমিনে সকল নাস্তিক-মুরতাদদের মাটির নিচে পুঁতে ফেলা হবে।’
কোরবানির পশুর হাট ও জবাইয়ের স্থান নির্দিষ্ট করে দেয়ার কারণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি মেয়রদেরও এক হাত নেন তিনি।
উল্লেখ্য, উপরোক্ত চার মন্ত্রী এক সময় বামপন্থি রাজনীতি করলেও ইনু ও মেনন গত বছর পবিত্র হজব্রত পালন করেছেন।
সমাবেশে হাসানাত আমিনী প্রায় ৮ মিনিট বক্তব্য দেন। এর আগে বক্তব্য দেন- খেলাফতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ তৈয়্যব হোসাইন, দলের নায়েবে আমীর মাওলানা আবুল কাশেম, মহা সচিব মাওলানা ফজলুল রহমান প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নিয়ে বায়তুল মোকাররম থেকে শুরু হয়ে প্রেসক্লাব গিয়ে মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। সমাবেশের কারণে দৈনিক বাংলা থেকে পল্টন পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur