বিভিন্ন রেওয়ায়েতে কোরআন পড়ে একাধিকবার আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশি কারি মুহাম্মাদুল্লাহ বিন হাফিজ।
বিশ্বের লাখ লাখ দর্শক-শ্রোতার হৃদয়কাড়া সুরে কোরআন তিলাওয়াত করে মন জয় করা বাংলাদেশের কারি মুহাম্মাদুল্লাহ বিন হাফিজ। তিনি কাতারের আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় পাঁচবার পুরস্কার পেয়েছেন।
পবিত্র কোরআনুল কারিমের প্রসিদ্ধ ১০ কেরাতের বিভিন্ন রেওয়ায়েতের ওপর একাধিকবার পুরস্কার পেয়েছেন মোহাম্মদুল্লাহ বিন হাফিজ, যা বাংলাদেশি হাফেজদের মধ্যে তার একক অর্জন।
এ ছাড়া হাফেজ আব্দুল হকের তত্ত্বাবধানে তার তিলাওয়াত টেপরেকর্ডের মাধ্যমে সর্বপ্রথম দেশের বিভিন্ন হিফজ বিভাগে মশক করানো শুরু হয়। এভাবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তার কোরআন তিলাওয়াত ছড়িয়ে পড়ে।
২০০৪ সালে ইরানের আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় সারাবিশ্বে চতুর্থ হয়েছিলেন হাফেজ মোহাম্মদুল্লাহ বিন হাফিজ। বর্তমানে তিনি কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ইমাম ও খতিব হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
পাশাপাশি কাতারে রেডিওতে নিয়মিত পবিত্র কোরআনে কারিম তিলাওয়াত করে সুনাম ও সুখ্যাতি অর্জন করছেন।এমনকি বাংলাদেশি কারিদের মধ্যে তিনিই প্রথম কাতারের রেডিওতে কোরআন তিলাওয়াত করার সুযোগ পেয়েছেন।
নরসিংদীর শিবপুরের চৈতন্য গ্রামের হাফেজ মাওলানা হাফিজুল্লাহর সন্তান কারি মুহাম্মাদুল্লাহ। বিশ্বজয়ী এ হাফেজ অল্প বয়সে মায়ের কাছেই এক-দুই পারা কোরআন মুখস্ত করেন। পরে বাবার প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া দক্ষিণ মির্জানগর মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে বাবার কাছেই মাত্র ১১ বছর বয়সে পূর্ণ কোরআন মুখস্ত করে ফেলেন।
২০০৪ সালে কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়ে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ইমাম ও খতিব হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং ২০০৮ ও ২০০৯, ২০১০, ২০১২ সালে কাতার হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় পঞ্চম, চতুর্থ, তৃতীয় ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।
এ ছাড়া ২০১৭-১৮ সালে আর টিভিতে হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তিনি বিচারক ছিলেন।
ঢাকা চীফ ব্যুরো, ২০ জুন, ২০২১;
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur