কচুয়া উপজেলার ৬নং উত্তর ইউনিয়নের নোয়াদ্দা-লস্করী ব্রীজ সংলগ্ন চার খালের মোড়ে প্রজেক্ট তৈরি করে বালু বিক্রি মহাউৎসব চলছে। এ যেন দেখার কেউ নেই।
তেতৈয়া গ্রামের মৃত. মাতাব্বর আলীর ছেলে আমির হোসেন প্রায় দু’বছর পূর্বে প্রবাস থেকে দেশে ফিরে রমরমা এ অবৈধ এ বালু উত্তোলন ও বিক্রির কাজে জড়িয়ে পড়েন। বর্তমানে বালু ব্যবসায়ী আমির হোসেনের বেশ কয়েকজন কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে এবং স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোকজন ম্যানেজ করে রাতারাতি এ বালু ব্যবসায় চালিয়ে আসছে।
সরেজমিনে জানা যায়, কচুয়া উপজেলার নোয়াদ্দা চার খালের মুখে জনৈক নজরুল ইসলামের দেড়কানি একটি বিশাল প্রজেক্ট থেকে বালু ক্রয় করে তিলকিয়াভিটি, পালাখাল হয়ে উত্তর পালাখাল মোড়ে হারুন মোল্লার নিকট বালু বিক্রি করছেন।
স্থানীয় ভাবে তার এ ব্যবসায়িক কাজে সহযোগিতা করছেন তেতৈয়া গ্রামের ইউসুফ মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম ও উত্তর পালাখাল মোল্লার বাড়ির হারুন মোল্লাসহ আরো অনেকে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আমির হোসেন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে বালু বিক্রির আড়ালে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তার এ অবৈধ রমরমা বালুর ব্যবসায় বন্ধ করতে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে আমির হোসেন বালু বিক্রির বিষয়ে কোনো অনুমতি নিতে হয় কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা যায়। কিন্তু কেউ বাধা দেয়নি।
কেন বাধা দেননি জানতে চাইলে বলেন, আমি বালু ক্রয় করে বিক্রি করি। তাই কেউ বাধা দেয়নি। আপনারা যত পারেন লিখেন। তবে প্রশাসন বাধা দিলে পাইপ উঠিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিবেন বলে আমির হোসেন জানান।
কচুয়া প্রতিনিধি,১৯ মে ২০২১
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur