চাঁদপুরের হাইমচরে রহস্যজনকভাবে এক নারী আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে উপজেলার পশ্চিম চরকৃষ্ণপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত শিখা রানী মজুমদার (৫৫) পেশায় স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেশ ভদ্র এবং বিনয়ী ছিলেন তিনি। তবে কি কারণে তিনি আগুনে পুড়ে মারা গেছেন তা জানাতে পারছেন না স্বজন এবং প্রতিবেশীরা। এদিকে, আগুনে পুড়ে রহস্যজনক এমন মৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও পত্যক্ষদর্শীরা জানান, চাঁদপুরের হাইমচর কিন্ডারগার্টেন নামে একটি শিশু স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন শিখা রানী মজুমদার। শুক্রবার ভোরে বাড়ির উঠোনে গায়ের আগুন লাগে শিখা রানীর। এসময় তার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে যান। কিন্তু ততোক্ষণে আগুনে পুড়ে যায় তার দেহ।
ঘটনার পর চাঁদপুরের পুলিশ সুপারসহ অন্যান্য উধ্বর্তন কর্মকর্তা এবং হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পুলিশ জানিয়েছে, আগুনে শিখা রানী মজুমদারের পুরো শরীর পুড়ে গেছে।
নিহতের বড় ভাইয়ের স্ত্রী সবিতা রানী মজুমদার জানান, রাতে একসঙ্গে তারা ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে অন্যদের ডাকচিৎকারে তার ঘুম ভাঙে। এসময় বাড়ির উঠোনে ননদের পুড়ে যাওয়া দেহ দেখতে পান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, পঞ্চাশোর্ধ এবং অবিবাহিত শিখা রানী মজুমদার বাবার বাড়িতে থাকতেন। সেখানে বড়ভাই মৃত শক্তি মজুমদারের স্ত্রী সবিতা রানী মজুমদারের সঙ্গেই তিনি বসবাস করতেন। সেখানে তারা দুজন ছাড়া আর কেউ থাকতেন না। বেশ বিনয়ী এবং ভদ্র ছিলেন শিখা রানী মজুমদার। কারো সঙ্গে তার শত্রুতা ছিল কি না তার জানা নেই তাদের। এমন মৃত্যুতে তারাও শোকাহত।
এদিকে, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই’র চাঁদপুর অঞ্চলের পরির্দশক কবির হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরি করতে প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান জানান, রহস্যজনক এই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে পুলিশ তদন্ত কাজ শুরু করেছে। তিনি আশা করছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুনের বিষয়টি উদঘাটন করতে পারবে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
দুপুরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে হাইমচর থানা পুলিশ। তবে এখনো কেউ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেনি।
বাতাকক্ষ,২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১;;