বাংলাদেশের খ্যাতিমান কলামিস্ট, গবেষক, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ আর নেই। ২৩ ফেব্রুয়ারি
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
স্কয়ার হাসপাতালের পরিচালক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
স্কয়ারের ইমার্জেন্সি আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. ফয়সাল হক জানান, যখন ওনাকে আমরা পাই, ওনার মাঝে জীবনের কোনও চিহ্ন ছিল না। পরে ইসিজিসহ কিছু পরীক্ষা করে নিশ্চিত করা হয়। সন্ধ্যা ৭টা ৯ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়
জনপ্রিয় এই কলামিস্ট তার গবেষণাধর্মী প্রবন্ধের জন্য সুপরিচিত। তিনি ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার এলাচিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য ১৯৯৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান এই লেখক। এখন পর্যন্ত তার ৪০টির বেশি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে দুটি কাব্যগ্রন্থ, একটি কাব্য সংকলন।
তিনি বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী নিয়ে গবেষণাধর্মী বই লিখেছেন। এরমধ্যে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর জীবন, কর্মকাণ্ড, রাজনীতি ও দর্শন, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর জীবন ও সাহিত্য, ভাসানী কাহিনী, স্মৃতিতে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, গান্ধী মিশন ডায়েরি, পূর্ববঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দশ দার্শনিক, পথিকৃৎ নারীবাদী খায়রুন্নেসা খাতুন, মোতাহের হোসেন চৌধুরী জীবন ও সাহিত্য, হরিশচন্দ্র মিত্র উল্লেখযোগ্য।
তার প্রবন্ধের বইয়ের মধ্যে যুদ্ধ ও মানুষের মূর্খতা, গান্ধী, নেহরু ও নোয়াখালী, ঢাকার বুদ্ধদেব বসু, রবীন্দ্রনাথের ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন, প্রভৃতি, প্রতীচ্য প্রতিভা, কাজী ইমদাদুল হক রচনাবলি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা, অরণ্য বেতার, বাঙালি জাতি বাঙালি মুসলমান ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ, রাজনীতি ও ধর্মীয় রাজনীতি, রবীন্দ্র রাজনীতি উল্লেখযোগ্য।
তিনি অসংখ্য ভ্রমণ কাহিনি লিখেছেন। এরমধ্যে ‘এ জার্নাল অব জার্মানি’ পাঠক সমাদৃত হয়।
ঢাকা ব্যুরো চীফ,২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur