কচুয়া উপজেলার করইশ গ্রামের অধিবাসী মৃত: আবদুল রবের ছেলে প্রবাসী নুরুল ইসলামের স্ত্রী সুমী আক্তার (২৫) প্রবাসী স্বামীর নগদ টাকা স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে সুকৌশলে নিখোঁজ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় সুমি আক্তারের শাশুড়ি মাজেদা বেগম বাদী হয়ে ২৮ নভেম্বর কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় অভিযোগ ও বাদীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উজানী গ্রামের অধিবাসী আমির হোসেনের মেয়ে সুমি আক্তারের সাথে প্রায় ৯ বছর পূর্বে একই উপজেলার করইশ গ্রামের মৃত.আব্দুর রবের ছেলে প্রবাসী নুরুল ইসলামের ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর নুরুল ইসলাম স্ত্রী ও বাবা মায়ের ভবিষ্যতের সুখের কথা চিন্তা করে সূদুর প্রবাসে পাড়ি জমায়।
এই সুযোগে সুমি আক্তার বিভিন্ন সময়ে কারণে অকারণে তার বাবার বাড়ি যাতায়াতসহ উশৃঙ্খল চলাফেরা শুরু করে। নুরুল ইসলামের পরিবার তাকে এ বিষয়ে বাধাঁ দিলে স্বামীর সংসার করবে না বলে সুমি আক্তার বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করে।
বাদীর অভিযোগ, সুমি আক্তার বিগত ১ মাস তার বাবার বাড়ি বেড়ানো শেষে ২৭ নভেম্বর শুক্রবার তাদের বাড়ি হঠাৎ আসে। ওইদিন সুমি আক্তার খাওয়া ধাওয়া শেষে রাতে ঘুমিয়ে পড়লে মধ্য রাতে স্টিলের আলমারী খুলে নগদ ৬ লাখ টাকা,৭ ভরি স্বর্ণ, তার নিজ নামীয় হিসাবে (এ্যাকাউন্ট) থাকা ৪ লাখ টাকা ও খালি চেক বই ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ উধাও হয়ে যায়।
বাদী আরো জানান, সুমি আক্তার ও নুরুল ইসলামের বিয়ের পর তাদের গৃহে একটি পুত্র সন্তান জন্ম হয়। এবং সুমি আক্তারের নামে স্বামীর পাঠানো ১৫ বছর মেয়াদী একটি বীমা রয়েছে।
পরে সুমি আক্তারের নিখোঁজের পর ছেলে পক্ষ বিষয়টি জানতে তার বাপের বাড়িতে গেলে পরিবারের সদস্যরা কিছুই জানে বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাদের তাড়িয়ে দেয় বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন।
এ দিকে ঘটনার সত্যতা জানতে শনিবার সুমি আক্তারের বাড়ি উজানী গ্রামে স্থানীয় সাংবাদিকরা গেলে সাংবাদিক পরিচয় জেনে সুমি আক্তারের পরিবারের সদস্যরা ওই বিষয়ে বলতে অসম্মতি প্রকাশ করেন।
থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে কচুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্টাফ করেসপন্ডেট,২০ ডিসেম্বর ২০২০