ফ্রান্সে মহানবী (স.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। ২ নভেম্বর সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এই সমাবেশ শুরু হয়। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে ফ্রান্স দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল করবেন তারা।
এর আগে ভোর ৬টা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হেফাজতের কর্মীরা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে জড়ো হতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এতে বিজয়নগর, প্রেসক্লাব থেকে পল্টন, গুলিস্তান সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়। আশপাশের এলাকায় প্রচুর সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাসুলকে (স.) দুনিয়ার সবকিছু থেকে ভালোবাসতে না পারলে তার ঈমান থাকবে না। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, শতকরা ৯৫ ভাগ মুসলমানের এই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আজ পর্যন্ত ফ্রান্সে আমাদের নবীকে যে অপমান করা হয়েছে তার প্রতিবাদ করে নাই।
তারা আরও বলেন, যারা মুসলমানদের স্বার্থে নিজের ঈমানের পক্ষে কথা বলে না তারা আজকে ক্ষমতায় থাকার অধিকার রাখে না।
হেফাজত নেতারা বলেন, আজ মুসলামন ও ঈমানদারদের পক্ষে যদি সরকার ঐক্যমত পোষণ করে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাস করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এ দেশের জনগণ এই সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে দেবে না।
ফরাসি দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি বাস্তবায়নে পুলিশ বাধা দিয়েছে দাবি করে তারা বলেন, আজকে রাস্তায় রাস্তায় বাধা দিয়ে সরকার প্রমাণ করেছে তারা কাদের পক্ষ অবলম্বন করেছে।
স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাক-স্বাধীনতার ব্যাপারে আলোচনা করতে গিয়ে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উপকণ্ঠের একটি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটি হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন প্রদর্শন করেন। এ ঘটনার পর গত ১৬ অক্টোবর ১৮ বছর বয়সী এক চেচেন কিশোর স্যামুয়েলকে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করেন।
স্যামুয়েল হত্যাকাণ্ডের পর ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ তার ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন প্রদর্শনী অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। এ নিয়ে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্কের টানাপড়েন তৈরি হয়েছে।
ঢাকা ব্যুরো চীফ, ২ নভেম্বর ২০২০