ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত ঘোষণার পর দাফনের সময় নড়ে ওঠে সদ্যজাত মরিয়ম। পরে তাকে পুনরায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নবজাতক মরিয়মকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
কবরস্থান থেকে হাসপাতালে ফিরে আসার পর মাত্র ছয় দিন বেঁচে ছিল শিশুটি। চিকিৎসকদের চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে সত্যিই চলে গেল শিশুটি।
বুধবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢামেক-এর নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) শিশুটির মৃত্যু হয়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া শিশুটির মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘শিশুটির শারীরিক অবস্থা বরাবরই আশঙ্কাজনক ছিল বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।’
গত শুক্রবার ১৬ই অক্টোবর ভোরে ঢাকা মেডিকেলে জন্ম নেয় শাহিনূর-ইয়াসিন দম্পতির কন্যা মরিয়ম। নির্দিষ্ট সময়ের আগে জন্ম নেয়া শিশুটিকে মৃত্যুসনদ দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এরপর বাবা ইয়াসিন রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফনের জন্য কবরে নামাতে গেলে নড়ে ওঠে মরিয়ম। পরে আবারো নিয়ে আসা হয় ঢাকা মেডিকেলে। শিশুটি আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকায় ভর্তি করা হয় আইসিইউতে।
পরে এ ঘটনায় গাফিলতি তদন্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি গঠন করে। যে কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এ ঘটনার জন্য নিজেদের চিকিৎসক ও হাসপাতালের ব্যর্থতাকে দায়ী করেন।
বার্তা কক্ষ,২২ অক্টোবর ২০২০