জলাতঙ্ক রোগীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় সর্বোচ্চ। এখনো দেশে বছরে ২০০ জনের বেশি মারা যাচ্ছে জলাতঙ্কে। বিশেষ করে কুকুরের কামড়েই তাদের মৃত্যু হচ্ছে। ঢাকায় এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৫০-এর বেশি। গত ১০ বছরে এ সংখ্যা ১০ শতাংশ কমলেও কুকুরে আক্রান্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রগ্রাম সূত্র জানায়, দেশজুড়ে জলাতঙ্কজনিত মৃতের সংখ্যা ২০০৯ সালে ছিল প্রায় দু হাজার। ২০১৯ সালে তা নেমে এসেছে ২০০ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা.শাহনীলা ফেরদৌসী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ টিকার মাধ্যমে এখন জলাতঙ্ক প্রতিরোধ হয়। মানুষও তা জানে। সারা দেশে ৬৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা দেয়া হয়। মানুষের সচেতনতার কারণে এ টিকার চাহিদা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।
গত অর্থবছরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রায় ৩ লাখ ভায়াল ভ্যাকসিন দেশের বিভিন্ন জেলা সদর হাসপাতাল ও মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়েছে।
অধ্যাপক শাহনীলা আরো বলেন, ‘জলাতঙ্ক একটি মারণব্যাধি,যা প্রাণী থেকে মানুষ ও প্রাণীতে সংক্রমিত হতে পারে। মূলত কুকুরের মাধ্যমে এ রোগটি সংক্রমিত হয়। এখনো বিশ্বে প্রতি ১০ মিনিটে একজন এবং বছরে ৫৫ হাজার জন এ রোগে মারা যায়।
২০৩০ সালের মধ্যে কুকুর কামড়জনিত জলাতঙ্কমুক্ত বিশ্ব গড়তে বৈশ্বিক কর্মকৌশলের অংশ হিসেবে বাংলাদেশেও কাজ চলছে। বিজ্ঞানী লুই পার আবিষ্কৃত জলাতঙ্কের টিকায় রোগটি শতভাগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বার্তা কক্ষ, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur