চাঁদপুরে মেঘনা-ডাকাতিয়ায় জোয়ারের তীব্রতায় শনিবার সকাল ৬ টায় পানি প্রবাহ ছিল ৪.৪১ এবং ৯ টায় ৪.২৯ সে.মি.।
সকালে গতকালের চেয়ে ৫ সে.মি কম এবং ৯ টায় ১৩ সে.মি বেশি ছিল। ফলে এর প্রভাবে মেঘনা ছাড়াও জেলার আরও দু’টি নদী ডাকাতিয়া ও ধনাগোদার পানিও বেড়ে যাওয়ায় জোয়ারে নদীর পানি আজও বিপদসীমার ওপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মেঘনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চাঁদপুর শহরের রাস্তাঘাটসহ মেঘনার পশ্চিমপাড়ের চরাঞ্চল ও ঈশানবালা, হাইমচর উপজেলা সদর এবং জেলার নিম্নাঞ্চল আবারও প্লাবিত হয়েছে। অমাবস্যা,একাদশী’র প্রভাব আর অতিবৃষ্টিতে শুক্রবার দুপুরে ও বিকেল ৬ টায় জোয়ারে মেঘনার পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী মো.জুয়েল ভূঁইয়া শনিবার বেলা ১১ টায় চাঁদপুর টাইমসকে এ তথ্য জানান ।
অস্বাভাবিক জোয়ারের নদীর পানি বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় চাঁদপুর-শরিয়তপুর নৌরূটের ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটে ও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বলে জানিয়েছেন বিআইডবিটি এর হরিণা ফেরিঘাট ব্যবস্থাপক ফয়সাল আলম চৌধুরী।
দু’বেলা জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা বেশি থাকে। তখন ফেরির গ্যাংওয়ে রাস্তাসহ তলিয়ে যায়। ফেরিতে গাড়ি উঠতে এবং নামতে পারে সমস্যা হচ্ছে। নিম্নচাপের প্রভাবে নদ-নদীর এ পানি বাড়ছে। বলে তিনি জানান।
চাঁদপুর শহরের অনেক এলাকার রাস্তাঘাটে জোয়ারের পানি উঠেছে। শহরের নিচু স্থানসহ নদীতীরবর্তী অনেক এলাকার বাড়িঘর,মসজিদ-মাদ্রাসা,স্কুল, ফসলি জমি এবং অন্যান্য স্থাপনা দ্বিতীয় দিনের মতো প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অসংখ্য পুকুর-জলাশয়ের মাছ ভেসে গেছে।
জোয়ারে মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার পানিবন্দী শত শত পরিবার চরম দুর্ভোগের শিকার। শুক্রবারও মেঘনা নদীর চাঁদপুর পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এদিকে চাঁদপুর আবহাওয়া অফিস বেলা ১২ টায় প্রাপ্ত তথ্য মতে,গত ২৪ ঘন্টায় চাঁদপুরে বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামি ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত এমন বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দায়িত্বরত আল-আমিন জানান।
সারাদেশের আবহাওয়া দপ্তর জানায়, সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশজুড়ে আরো অন্তত: ২ দিন বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এসময় দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২২ আগস্ট শনিবার সকালে দেয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানায় অধিদপ্তর।
পূর্বাভাসে বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গা এবং ঢাকা, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবদুল গনি, ২২ আগস্ট ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur