চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরান বাজার এলাকায় ফের নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। নতুন ভাঙনে ২৫ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ১শ’ মিটার এলাকা ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে।
শহর রক্ষা বাঁধের নতুন বাজার ও পুরান বাজার সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকা স্থায়ী এবং শক্তিশালী বাঁধ নির্মাণ করার জন্য ৪২১ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্প পানি উন্নয়ন বোর্ড পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। যা বর্তমানে যাচাই-বাছাই অবস্থায় আছে।
১৯ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লা জোনের এডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার জহির উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে চাঁদপুর শহরকে রক্ষার জন্য ইতোমধ্যে অর্থাৎ ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে ৩ কিলোমিটার তীর সংরক্ষণ করি। দীর্ঘদিন শহর রক্ষা বাঁধ ব্যবহার, বর্ষা মৌসুমে নদীর ঢেউ ও স্রোতের আঘাতে নির্মিত প্রতিরক্ষা কাজ স্থানে স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০১৯ সালে শহরের পুরান বাজার হরিসভা এলাকায় প্রায় ১৫০ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। আমরা সেখানে জরুরিভিত্তিতে প্রতিরোধমূলক কাজ সম্পাদন করেছি। গত কয়েকদিন আবারও নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ১শ’ মিটার এলাকার ৩টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা সেখানে জরুরিভিত্তিতে কাজ করছি। বর্তমানে ভাঙন অবস্থা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
তিনি আরও জানান, বাঁধের স্পর্শকাতর স্থানে বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ মওজুদ রেখেছি। পানি সম্পদমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সচিব, মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চাঁদপুরের পরিস্থিতি সার্বক্ষণিকভাবে নজরদারিতে রেখেছেন।
প্রধান প্রকৌশলী আরও বলেন, আমরা চাঁদপুর শহরকে স্থায়ীভাবে রক্ষার জন্য একটি প্রকল্প প্রণয়ন করেছি। এ প্রকল্পের আওতায় আমরা চাঁদপুর শহরের সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকা আরও মজবুত, শক্তিশালী ও দৃঢ়করণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প দাখিল করেছি। এ প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৪২১ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বর্তমানে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাই পর্যায়ে রয়েছে। এ প্রকল্পকে আরও শক্তিশালী ও টেকসই করার জন্য পদ্মা-মেঘনা এবং ডাকাতিয়া নদীর গতিপথ বিশ্লেষণ করে একটি সমীক্ষা কাজ আমরা একই সঙ্গে সম্পাদন করছি।
এ সমীক্ষা অনুযায়ী দ্রুত প্রকল্পটি অনুমোদন হলে এবং কাজ সম্পাদন করা হলে প্রতিবছর চাঁদপুর শহর ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। পরিদর্শনকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আখতার, নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. রুহুল আমিনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
করেসপনে্ডট,১৯ আগস্ট ২০২০