চাঁদপুরের মতলব উত্তর ফরাজীকান্দি এলাকায় প্রতিবেশী যুবকের সাথে অভিমানে স্কুলছাত্রী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। গত ৪ জুলাই বেলা ৩টায় পোকা মারার ওষুধ সেবন করে রাত ৮ টায় মারা যায়।
নিহত স্কুলছাত্রী উদমদী গ্রামের মৃত আবুল হোসেন প্রধানীয়ার ছোট মেয়ে শান্তা আক্তার (১৫)। ঔষুধ খাওয়ার পর পরই কিশোরী শান্তা আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার উদ্দেশে আনা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার করে। ততক্ষণে কিশোরী না ফেরার দেশে চলে যায়।
নিহতের মা ও আত্মীয় স্বজনরা ঘটনার বিবরণে জানিয়েছে, ২৯ জুন পার্শ্ববর্তী বান্ধবীর সাথে লাইব্রেরীতে যায় বই আনার জন্য। লাইব্রেরীর কাজ শেষ করে আসার সময় পথে ২ যুবকের সাথে তারা কথা বলার সময় ওই এলাকার কিছু বখাটে ছেলে তাদেরকে অশ্লীলভাবে গালমন্দ করে। এ সময় শান্তা আক্তারের বাড়ির পার্শ্ববর্তী মৃত লাল মিয়া খানের ছেলে মুক্তার হোসেন মটর সাইকেল যোগে যাওয়ার সময় তাদেরকে যার যার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলে দেয়। সবাই বাড়িতে চলে যায়। অপরদিকে শান্তা আক্তার তার বাড়িতে যাওয়ার সময় মুক্তার হোসেন তার মোটর সাইকেলে জোরপূর্বক উঠায় বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু তাকে বাড়িতে না পৌঁছে দিয়ে উদমদী গ্রামের দোকানের সামনে তাকে নামিয়ে মানুষ জড়ো করে শান্তাকে বিভিন্নভাবে হেয় করে।
শান্তার পরিবার অভিযুক্ত মুক্তারের পরিবারকে বিষয়টি অবগত করে। কিন্তু মুক্তার এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ৩ জুলাই পুনরায় শান্তাকে তার বাড়িতে এসে গালমন্দ।
এতে অভিমান করে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শান্তা তার বাড়িতে থাকা কেরী মারার ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যা করে। শান্তা যাওয়ার আগে একটি চিরকুট রেখে যায়। এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
স্টাফ করেসন্ডেন্ট, ৫ জুলাই ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur