মহামারী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনের বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজ ব্যবসা বন্ধ থাকায় অধিকাংশ ব্যবসায়ীই স্যানিটাইজার ব্যবসা ঝুঁকছেন। গত দেড় দুই মাস ধরে চাঁদপুরে চলছে অনির্দিষ্টকালের লকডাউন। আর এই লকডাউনে বন্ধ রয়েছে চাঁদপুরের সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। হঠাৎ করে দেশের এমন মহা দুর্যোগে সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ছে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
লকডাউনে নিজ কর্মে যাওয়া মানি করোনায় আক্রান্ত নয়তো প্রশাসনের দৌড়ানি। তাই জীবন বাঁচাতে নিরুপায় হয়েই নিজ, নিজ ব্যবসা বন্ধ করে দিয়ে বাড়িতেই দিন পার করছেন। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন পেশার খেটে খাওয়া মানুষ ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে বেশির ভাগ বিপদে পড়েছে ছোট খাটো ব্যবসায়ীরা। এরমধ্যে রয়েছে চা পান বিক্রেতা, হকার, আলুর চপ, পেঁয়াজু বিক্রেতা, ডিম বিক্রেতা, বুট বাদাম বিক্রেতা, পথোপ্রান্তের ক্যাম্পাচার, লেকচার ঔষধ ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীগন।
আর কর্মহীন হয়ে পড়া ওইসকল ব্যবসায়ীরা বর্তমানে নিজেদের ব্যবসা বন্ধ থাকায় বিকল্প পথ বেঁচে নিয়ে এই স্যানিটাইজার ব্যবসা করে চলেছেন। গত দেড় দুই মাস ধরে দেখা গেছে চাঁদপুর শহরের কালী বাড়ি কোট স্টেশন, পালবাজার ব্রীজের প্রবেশ মুখ, বাসস্ট্যান্ট, চিত্রলেখা মোড়, নতুন বাজার, ছায়াবাণী, মিশন রোড, ওয়্যারলেস, পুরান বাজার সহ শহরের বিভিন্নস্থানে ব্যবসায়ীরা মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস, হ্যান্ড ওয়াশ, ডেটল, স্যাভলন, পিপিই সামগ্রী সহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিক্রি করছেন। খবর নিয়ে জানা গেছে এসব স্যানিটাইজার ব্যবসাীদের মধ্যে বেশির ভাগ ব্যবসায়ীরই পূর্বে নিজ, নিজ ব্যবসা ছিলো। লকডাউনে সব বন্ধ থাকায় তারা বর্তমানে এই ব্যবসা বেছে নিয়েছেন।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা থেকে বাঁচতে হলে স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে সবাইকে সচেতনতা অবলম্ভন করে চলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। সেজন্য এখন সবাই সেই সচেতনতায় নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করছেন, হ্যান্ড গ্লাবস ব্যবহার ও হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধুচ্ছেন। এজন্য দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে লকডাউনে সবকিছু বন্ধ থাকায় জীবন জীবিকার তাগিদে অধিকাংশ ব্যবসায়ী নিজ ব্যবসার বিরতীতে এই স্যানিট্রাইজার ব্যবসা করে চলেছেন।
প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,৯ মে ২০২০