দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে জেলেদের মাছ শিকার। কিন্তু নদীতে মাছ না পাওয়ায় জেলার প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বড় স্টেশন মাছঘাট প্রায় ইলিশ শুন্য। ফলে আড়তের মাছ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা অলস সময় কাটান সারাটা দিন।
ব্যবসায়ীরা জানান, স্বাভাবিক সময়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রচুর মাছ নিয়ে আসেন জেলেরা। কিন্তু এবার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর প্রথম দিন দু-একজন জেলে দু-চারটি মাছ নিয়ে ঘাটে এসেছেন। নদীতে মাছ না পাওয়ায় অধিকাংশ জেলে ফেরেননি।
চাঁদপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল খালেক মাল বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে প্রশাসনের লোকজন এ সংশ্লিষ্ট কাজে ব্যস্ত। ফলে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে তাঁরা তেমন তৎপর থাকতে পারেননি। এ সুযোগে নিষেধজ্ঞার মধ্যেও পদ্মা-মেঘনায় মাছ শিকার চলেছে। এক শ্রেণির অসাধু জেলে এই কাজে যুক্ত ছিল। ফলে জাটকা ইলিশ সংরক্ষণ করা যায়নি। এখন নদীতে মাছ তেমন নেই। ফলে জেলেরা প্রায় শূন্য হাতে ফিরছেন। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর প্রথম দিনে এমন ঘটনা বিরল।
জাটকা রক্ষায় ১ মার্চ থেকে পদ্মা ও মেঘনা নদীতে সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। একই সময়ে মাছ পরিবহন, বিক্রি ও মজুতও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছিল সরকার।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান বলেন, মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা উঠলেও জেলেরা নদীতে সেভাবে নামতে পারবেন না। কারণ ওই নিষেধাজ্ঞা উঠলেও করোনা পরিস্থিতির কারনে নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে। এমনকি চাঁদপুরের নদীতে মাছ ধরার জন্য অন্য জেলার জেলে-মাঝি এখানে আসতে পারবেন না। আবার এখান থেকেও অন্যত্র যেতে পারবেন না কোনো জেলে। বিষয়টি বাস্তবায়নে তৎপর থাকবে প্রশাসন।। অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
বার্তা কক্ষ, ১মে ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur