Home / আন্তর্জাতিক / ‘ভাই আমাদের বাঁচান’ সৌদি থেকে ৫ বাংলাদেশির আকুতি
ভাই আমাদের বাঁচান, আমাদের বাঁচান।

‘ভাই আমাদের বাঁচান’ সৌদি থেকে ৫ বাংলাদেশির আকুতি

‘ভাই আমাদের বাঁচান। একমাত্র আপনারাই (সাংবাদিকরা) বাঁচাতে পারেন আমাদের। সকাল আর রাতে আটা ঘোটা, দুপুরে হাফ প্লেট করে ভাত। এভাবে আমরা কোনো মতে বেঁচে আছি। কিছুদিন এভাবে ঘরের মধ্যে বন্দি জীবন-যাপন করলে পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিতে হবে আমাদের।’

সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের কাছে হাইল নাগারা সিটির একটি নির্জন কক্ষ থেকে ম্যাসেঞ্জারে ভিডিও কল দিয়ে এভাবেই বাঁচার আকুতি জানান মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামের জিল্লুর রহমান, ইলিয়াছ হোসেন, উজ্জল হোসেন, একই উপজেলার মহেষপুর গ্রামের বিপ্লব হোসেন ও রকিবুল ইসলাম। বুধবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে তারা এ ভিডিও কলটি দেন।

এসব অসহায় প্রবাসীরা জানান, হিজলবাড়িয়া গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে নাহিদ হোসেনের মাধ্যমে ছয় লাখ টাকা দিয়ে গত বছরের ১৫ অক্টোবর এখানে আসি। তার সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক এয়ারপোর্ট ক্লিনার হিসেবে কোম্পানির কাজ দেবে এই শর্তে আমাদের এখানে নিয়ে আসেন নাহিদ। এখানে নিয়ে এসে জেছমিন নামে একটি কোম্পানিতে কাজ দেয় আমাদের। সাত মাস তাদের কোম্পানিতে আমাদের কাজ করিয়ে নেয়। কিন্তু বেতন ভাতা না দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। এখানে নিয়ে আসার পর এ পর্যন্ত আমাদের আটটি বাসা পাল্টিয়েছে। খেতেও দেইনা। এখনও পর্যন্ত আমাদের আইপি করে দেয়নি নাহিদ। একটি কক্ষে গাদাগাদি করে কোনো রকম বেঁচে আছি। আমাদের বাঁচান ভাই। আমাদের বাঁচান।

তারা আরও বলেন, আমাদের পরিবারের লোকজন এখন নাহিদের কাছে টাকা পয়সা চাইতে গেলে এবং আমাদের এখান থেকে ফিরিয়ে আনার কথা বললে নানাভাবে ভয়ভীতি, হুমকি ও মারধর করে। দলীয় ক্ষমতা দেখায়। এনিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাহিদ হোসেন বলেন, তারা ওখানে সরকারি লেবার কোর্টের মাধ্যমে কাজ করছেন বেতনও পেয়েছে। তাছাড়া ওদের আইপি করার জন্য মাথাপিছু ২১ রিয়াল করে দেওয়া হয়েছে। তবে ওই দেশের আইপি এখন তারা হাতে পায়নি।

নাহিদ আরও বলেন, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত জানে। কারণ, এনিয়ে ইতোপূর্বে অনেক সমস্যা হওয়ার কারণে গাংনীর একজন সচিবের মাধ্যমে দু’দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে একটা সুরাহা হয়েছে। এছাড়া মেহেরপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বসেও একটা সুরাহা হয়েছে। তারা বেশ কয়েকবার কাজ পাল্টিয়েছে। তাদের তেল পাম্পেও কাজ দেওয়া হয়েছে সেখানে করেনি। প্রায় তিন মাস কাজ না করে তারা আমাদের সঙ্গে শুধু ফ্যাসাদ করেছেন। এখন ক্লিনার হিসেবে কাজ করছি আমরা।

বার্তা কক্ষ,২৪ এপ্রিল ২০২০