করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন ভেঙে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষ পা কেটে আনন্দ মিছিল করল এলাকাবাসী। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে লকডাউন। কিন্তু এই লকডাউন ভেঙে জেলার নবীনগর উপজেলায় শত শত মানুষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রোববার ১২ এপ্রিল সকাল থেকে থেমে থেমে কয়েক দফায় উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামে এ সংঘর্ষ চলে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের একজনের পা কেটে হাতে নিয়ে আনন্দ মিছিলও করেছে আরেক পক্ষ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের সঙ্গে থানাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা কাউসার মোল্লার বিরোধ চলছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চলা এ বিরোধের জেরে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। থেমে থেমে চলা এ সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মোবারক মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তির পা কেটে নিয়ে গ্রামে আনন্দ মিছিল করে এক পক্ষ। ওই মিছিল থেকে পায়ের বদলে মাথা কেটে নিয়ে আসার কথাও বলা হয়। এছাড়াও সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মকবুল হোসেন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে
উল্লেখ্য গত কিছুদিন আগেও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল সংঘর্ষ হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। গ্রামে গ্রামে দা চেনি টেটা নিয়ে কিছুদিন পরপরই সংঘর্ষ হয় এ জেলায়। জনে মনে প্রশ্ন সারা বিশ্বের মানুষ যখন করোনা আতংকেে ঘরে তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ কেন মারামারিতে লিপ্ত।
বার্তা কক্ষ, ১২ এপ্রিল ২০২০