বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈশ্বিক নির্দেশনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জাতিসংঘের সঙ্গে যৌথভাবে জাতীয় প্রস্তুতি ও সাড়া প্রদান পরিকল্পনা (কান্ট্রি প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্ল্যান) তৈরি করেছে সরকার।
জাতীয় প্রস্তুতি ও সাড়াপ্রদান পরিকল্পনা হলো একটি পরিকল্পনার নথি, যা যৌথভাবে জাতিসংঘ ও বাংলাদেশে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর বেশ কিছু সুশীল সমাজের অংশীদার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় প্রস্তুত করেছে।
জাতিসংঘ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈশ্বিক নির্দেশনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রস্তুত করা এ নথির উদ্দেশ্য হলো-বিশ্বব্যাপি কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষাপটে সরকারের সাড়া প্রদানে সহায়তা করতে জাতিসংঘের সংস্থা ও অংশীদারদেরকে কার্যকরভাবে প্রস্তুত করা।
বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্বে অতি দ্রুততার সঙ্গে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন।
এছাড়া রয়েছে-ভাইরাসটির ঝুঁকির ব্যাপারে ব্যাপকভাবে অবহিত করা, সামাজিক দূরত্ব (সোস্যাল ডিসটেন্সিং), সামাজিক সুরক্ষা (সোস্যাল প্রটেকশন) এবং বিদ্যালয় ও জনসমাগম হয়— এমন স্থানগুলো বন্ধ করে দেওয়া।
বৈশ্বিক স্বীকৃত যে মডেলিং পদ্ধতির দ্বারা এ নথিটি পরিচালিত তাতে দেখানো হয়েছে, এ ভাইরাসটির বিস্তার রোধে বাবস্থা না নেয়া হলে এ মহামারীর বিস্তার ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে । কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া কমানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তার সঙ্গে জাতিসংঘ সম্পূর্ণরূপে একমত ও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া রোধ করার জন্য অতি দ্রুত কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে তা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তাই,আমরা সবাইকে এসব ব্যবস্থা মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। এর ফলে, সরকার ও জাতিসংঘের সংস্থা, সুশীল সমাজ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দেশব্যাপি স্বাস্থ্যব্যবস্থা আরও জোরদার করার জন্য বেশ কিছুটা সময় পাবে এবং তার ফলে বাংলাদেশ সরকারকে এ মহামারী দমন করতে সহযোগিতা করতে পারবে।
বার্তা কক্ষ , ২৯ মার্চ ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur