Home / আন্তর্জাতিক / বিশ্বের প্রথম করোনা রোগী একজন চিংড়ি মাছ বিক্রেতা : নাম গুইশিয়ান
world_first_corona-.

বিশ্বের প্রথম করোনা রোগী একজন চিংড়ি মাছ বিক্রেতা : নাম গুইশিয়ান

চীনের উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া নোভেল করোনাভাইরাস এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিশ্বজুড়ে। ছড়িয়ে পড়ছে ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে। এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৬৮ হাজার মানুষ। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩১ হাজার ১৭ জনের।

প্রতি মুহূর্তে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। তবে এ ভাইরাস যেহেতু মানবদেহ থেকে মানবদেহে ছড়ায় সেহেতু প্রথম এ ভাইরাসে কে আক্রান্ত হয়েছিল সেটা জানতে উদগ্রীব সারা বিশ্বের মানুষ।

অবশেষে সেই ‘পেশেন্ট জিরো’ রোগীর সন্ধান মিলেছে। এ নামেই বিশ্বে চিহ্নিত করা হচ্ছে তাকে। তিনি ৫৭ বছর বয়সী এক মহিলা । নাম ‘ ওয়েই গুইশিয়ান ’। চীনের উহান শহরের বাজারে চিংড়ি মাছ বিক্রি করতেন। বিশ্বে তিনিই প্রথম কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত হন।

ওয়েই গুইশিয়ান ডিসেম্বরে ওই রোগে আক্রান্ত হন। প্রায় মাসখানেক হাসপাতালে চিকিৎসার পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। তিনি সম্প্রতি বলেছেন, ‘চীনের সরকার যদি আরও আগে করোনাভাইরাসের বিপদটা বুঝতে পারত,তাহলে এ অতিমহামারি হতো না।’

আমেরিকার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে,ওয়েই গুয়েইশিন ১০ ডিসেম্বর হুনান সি ফুড মার্কেটে চিংড়ি বিক্রি করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে ভেবেছিলেন,ঠান্ডা লেগেছে। ফ্লু ’র মতো কোনও রোগ হয়েছে। তিনি স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। সেখানে তাকে ইঞ্জেকশান দিয়েছিল। কিন্তু তাতে রোগ সারেনি। বরং তিনি খুব দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। তার ধারণা হয়েছিল,ফ্লু নয় । আরও গুরুতর কোনও রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।

একদিন পরে ওয়েই গিয়েছিলেন উহানের ইলেভেন্থ হাসপাতালে। এর পরেও তার দুর্বলতা কমেনি। ১৬ ডিসেম্বর তিনি যান উহান ইউনিয়ন হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে দেখেন,সি ফুড মার্কেট থেকে আরও অনেকে এসেছেন। তাদের প্রত্যেকের শরীরে তার মতোই রোগের লক্ষণ ফুটে উঠেছে।

চীনের এক সংবাদপত্রের রিপোর্টে জানা যায়,ডিসেম্বরের শেষে ‘ওয়েই ’কে কোয়ারান্টাইন করা হয়। ততদিনে সবাই জানতে পেরেছে করোনাভাইরাস আক্রমণ করেছে মানবজাতিকে।

করোনা সন্ত্রাসে এখন বিশ্বে প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ গৃহবন্দি। চীনের পরেই করোনা মহামারী মারাত্মক রূপ নিয়েছে ইতালি,স্পেন,যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, জার্মানি, ফ্রান্সসহ আরও অনেক দেশ।

মৃত্যুপুরী হয়ে উঠেছে ইতালি ও স্পেন। সেখানে দোকান-বাজার, রেস্তোরাঁ-বার, স্কুল-কলেজ সবই স্তব্ধ, জনমানবশূন্য। প্রায় ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। হাসপাতালে বাড়ছে ভিড়,মর্গে জমছে লাশের স্তূপ। শেষকৃত্য করার লোক নেই। শহরের বাইরে নিয়ে গিয়ে দেহ পুড়িয়ে ফেলছেন সেনাসদস্যরা।

বার্তা কক্ষ , ২৯ মার্চ ২০২০