শত বছর আগে জন্মেছিল শিশু
বজ্রকন্ঠে চিৎকার দিয়ে জানান দিয়েছিল- আমাকে খাবার দাও।
বেড়ে উঠা সেই শিশু ধীরে ধীরে সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে অধিকার
আদায় করতে প্রাণপণে লড়তে শুরু করে।
কারাবরণ করতে করতে সাহস বেড়ে উঠে।
হয়ে উঠল- জননেতা, উপাদী পেলেন বঙ্গবন্ধু।
বললেন- প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, এদেশের মানুষের অধিকার চাই।
রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো, তবুও এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাল্লাহ।
কারার ওই লৌহকপাট থেকে লৌহমানব লিখেছেন
আব্বা,
আমাকে আবার রাজবন্দী করেছে, দরকার ছিল না। কারণ রাজনীতি আর নাই,
এবং রাজনীতি আর করবো না। সরকার অনুমতি দিলেও আর করবো না।
রেনু,
হাছিনাকে মন দিয়ে পড়তে বলিও। রেহানা খুব দুষ্ট, ওকে কিছুদিন পর স্কুলে দিও।
তোমার একমাত্র কাজ হবে ছেলেমেয়েদের লেখা পড়া শিখানো।
হাছু মনি,
শরীরে প্রতি যতœ নিও, ওয়াজেদের শরীর কেমন? চিন্তা করে শরীর নষ্ট করিও না।
লৌহমানবের সেইসব বেড়ে উঠা প্রতিটি ক্ষণে- কত ত্যাগ, কত মহিমা ফুটে উঠেছিল।
ঐতিহাসিক ভাষণে বজ্রকন্ঠে বলেছিল- ‘এবারে সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।’
আজ সেই শিশু বাঙ্গালী জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী।
জন্মশতবর্ষ হয়ে গেল- তাঁর নাম শেখ মুজিবুর রহমান। (১৭ মার্চ ২০২০খ্রি.)