চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সমেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র এক শিক্ষক দিয়ে চলছে শ্রেণী ক্লাসের কার্যক্রম। ৭ মার্চ শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা মাঠে স্যার বাড়ীতে।
সমেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উপজেলার সীমান্তবর্তী স্থানে হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষা কর্মকর্তাদের পদচারনা কম। এ সুযোগে দায়িত্বরত ৫ শিক্ষক উপজেলায় শিক্ষা অফিসে গিয়ে অনিয়মতান্ত্রিক ছুটি, মাতৃত্বকালিন ছুটি, পিটিআই ট্রেনিংসহ নানা অযুহাত দেখিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিম্ন পর্যায়ে নিয়ে এসেছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ও ৭ মার্চ দুই দিনের সরেজমিন তদন্তে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের রুমসহ সবগুলো শ্রেণী কক্ষে তালা। কয়েকজন শিক্ষার্থী মাঠে খেলছে। চারদিকে সাধারন মানুষের কোন আনাগনা নেই।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের হাসান স্যার বাড়ীতে গেছেন। আর কোন স্যার নেই তাই আমাদের ক্লাসরুমে তালা লাগানো, আমরা মাঠে সময় কাটাচ্ছি।
খোজনিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাসান স্যারের বাড়ীতে গেলে তিনি বলেন, আমি ডেপুটিশনের শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক আসেনি, আমার একা পক্ষে বিদ্যালয়ের প্রায় ১২০ জন শিক্ষার্থীর ক্লাস নেওয়া সম্ভব নয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রাব্বি’র সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন, আমি সকাল বেলা এটিওকে ফোনে অসুস্থ্যতা দেখিয়ে ছুটি নিয়েছি। বিদ্যালয়ের ৫ জন শিক্ষকের মধ্যে চারজন পিটিআই টেনিং এ আছে। ডেপুটিশনের শিক্ষক হাসান স্যারকে বিদ্যালয়ের ক্লাস নিতে বলেছি।
স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাহেদ হোসেন বলেন, গত কয়েক মাস ধরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট। শিক্ষার্থীরা নিজ খেয়াল খুঁশিতে বিদ্যালয়ে আসে আর যায়। বেশীভাগ সময়ে ডেপুটিশনের শিক্ষক হাসান মাষ্টার ছাড়া অন্যকোন শিক্ষককে বিদ্যালয়ে আসতে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল জানান, প্রধান শিক্ষক ছুটি নিয়েছে কিনা তা দায়িত্বরত এটিওর সাথে যোগাযোগ করে জানবো সেই সাথে শিক্ষক সংকট দূরকরনের ব্যবস্থায় প্রদক্ষেপ গ্রহন করবো।
জহিরুল ইসলাম জয়,৭ মার্চ ২০২০