Home / জাতীয় / রাজনীতি / বিএনপি বিদেশি কূটনীতিবিদদের ডেকে নালিশ করে : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি বিদেশি কূটনীতিবিদদের ডেকে নালিশ করে : তথ্যমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন এলেই বিদেশি কূটনীতিকদের আগ্রহ বেড়ে যায়। এজন্য অবশ্য আমাদেরও কেউ কেউ দায়ী। আপনারা জানেন, কোনো কিছু হলেই বিএনপি বিদেশি কূটনীতিবিদদের ডেকে নালিশ করে। নালিশ তো করবে জনগণের কাছে, দেশের ভোটারের কাছে, কিন্তু তারা নালিশ করে বিদেশিদের কাছে। এটি কোনোভাবেই সমীচীন নয়।

৩১ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের হাটহাজারি ইডেন ইংলিশ স্কুলে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গত ২৩ জানুয়ারি ডিএনসিসিতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের নির্বাচনী অফিসে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন। এছাড়া সেদিন রাতে তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা কাজী রুম্মান দস্তগীর। এরপর ২৬ জানুয়ারি দুপুরে ডিএসসিসিতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের প্রচারণায় সংঘর্ষের পর তার বাসায় গিয়ে দেখা করে আসেন হাইকমিশনার ডিকসন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ঢাকা সিটি নির্বাচন নিয়ে তারা যেভাবে কথা বলছেন তা কূটনৈতিক শিষ্টাচারে পড়ে না। অথচ পাশের দেশ ভারতে জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এভাবে সেখানকার কূটনীতিবিদরা কথা বলেন না কিংবা অন্য কোনো দেশেও কেউ বলেন না।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশি কূটনীতিকরা জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে বেশি আগ্রহী স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে তারা নির্বাচন কমিশনেও দেখা করেছেন।

তিনি আরও বলেন,স্থানীয় সরকার নির্বাচন চলাকালে বিদেশি কূটনীতিকরা যেভাবে বিভিন্ন প্রার্থীর বাড়িতে গিয়েছেন তা সমীচীন হয়নি। কোনো প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে তাকে সহানুভূতি জানানো বিদেশি কূটনীতিকদের যেমন কাজ নয়, তেমনি এটি কূটনীতিরও অংশ নয়। আমি মনে করি এই ক্ষেত্রে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘিত হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণ কার্ড দিয়েছে। সেখানে আবার ২৮ জন বাংলাদেশি অর্থাৎ বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী। এটি কীভাবে দিয়েছে? কেন দিয়েছে? সে নিয়ে যদিও গতকাল (বৃহস্পতিবার) নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে এ ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়। নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল।

ঢাকা ব্যুরো চীফ